প্রতীকী চিত্র।
যে কোনও নেশাই মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। নেশার জন্য অনেক পরিবার নষ্ট হয়ে যায়। দিনের পর দিন নেশার কারণে নিজের এবং সন্তানের ভীষণ ভাবে ক্ষতি হয়ে যায়। একটা সময় এমন আসে যখন হয়তো অনুতাপ হয়। কিন্তু আর তখন কিছু করার থাকে না।
জ্যোতিষ শাস্ত্রমতে নেশার কারক গ্রহ বলতে অশুভ রাহু, মঙ্গল এবং শনিকে মনে করা হয়। এ ছাড়া জন্মছক অনুযায়ী লগ্ন, দ্বিতীয় এবং ষষ্ঠ ঘরের বিশেষ যোগকে ইঙ্গিত করা হয়। বিশেষ করে একটা কথা জেনে রাখা প্রয়োজন যে, এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় রাশি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে জলরাশি, আর সেই সঙ্গে শনির ঘরটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নেশার ক্ষেত্রে এই দিকগুলো বিশেষ ভাবে দেখা হয়।
এ ছাড়া নেশার হাত থেকে বাঁচতে গেলে জ্যোতিষমতে বিশেষ টোটকার কথাও বলা আছে যা সঠিক নিয়ম অনুসারে পালন করতে পারলে খুবই উপকার পাওয়া যায়।
টোটকা
সাতটা অশ্বত্থ পাতা নিয়ে পর পর সাজিয়ে রেখে তাঁর ওপর খুব সামান্য কালো তিল, কালো সরষে দিতে হবে। তার পর একটা সাদা কাগজে লাল রঙের সিঁদুর দিয়ে যাঁর নেশা ছাড়াতে হবে তাঁর নাম এবং গোত্র লিখতে হবে। লেখার জন্য পানপাতার বোঁটা ব্যবহার করলে ভাল হয়। কোনও পরিষ্কার কাঠি হলেও হবে। তার পর সেই সাতটা পাতা একটার ওপর একটা দিয়ে সাজিয়ে ফেলুন। অর্থাৎ পর পর সাজিয়ে ফেলতে হবে। এর পর সবচেয়ে উপরের পাতাটার ওপর নাম লেখা কাগজটা রেখে সব একসঙ্গে বেঁধে ফেলতে হবে।
এর পর রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় যাঁর নেশা ছাড়াতে হবে তাঁর বালিশের নীচে এই জিনিসটা রেখে দিন। সারা রাত থাকার পর সকালবেলা শুদ্ধ বস্ত্রে পাতাটি শিবলিঙ্গে সাত বার স্পর্শ করিয়ে কোনও অশ্বত্থ গাছের নীচে পুঁতে দিন। এই কাজটি যে কোন দিন করতে পারেন। তবে শনিবার ও মঙ্গলবার করতে পারলে বেশি ভাল ফল পাওয়া যায়। এই টোটকাটি বটপাতা দিয়েও করা যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy