অনেকেই চান, যেন তাঁর দেখেশুনে বিবাহ হয়। আবার অনেকে চান, প্রেম করে বিবাহ করতে। কিন্তু প্রেম করে বিবাহ করতে চাইলেই যে তা হবে, এ রকম নয়। কারণ, প্রত্যেকটা মানুষের জন্মছকে গ্রহের স্থান অনুযায়ী তাঁর জীবনে প্রেম আসবে কি না, তা বলা যায়।
আরও পড়ুন:
জ্যোতিষ মতে জন্মছকে গ্রহের কেমন স্থানে প্রেম হয় দেখে নেব
১) পঞ্চমভাবের অধিপতির সপ্তমভাবের সঙ্গে অথবা সপ্তমভাবে স্থিত গ্রহের সঙ্গে সম্বন্ধ থাকে, তা হলে জাতকের প্রেম বিবাহ হয়।
২) শুক্র এবং বৃহস্পতির সম্বন্ধিত যোগ জাতকের আধ্যাত্মিক প্রেম যোগ তৈরি করে।
৩) পঞ্চমভাবে শুক্র আর চন্দ্রের যোগ, পঞ্চমপতির শুক্র আর চন্দ্রের সঙ্গে সম্বন্ধ প্রেম বিবাহ যোগ তৈরি করে।
৪) মঙ্গল যদি পঞ্চমভাব বা তার অধিপতির সঙ্গে সম্বন্ধিত হয়, তা হলে প্রেম বিবাহ যোগ তৈরি হয়।
৫) যখন শুক্র শনি অথবা রাহু দ্বারা দৃষ্ট থাকে বা শুক্রের শনি অথবা রাহুর সঙ্গে যুক্ত থাকে, তা হলে প্রেম বিবাহের যোগ তৈরি হয়।
৬) যদি চন্দ্রের লগ্ন ভাবের সঙ্গে সম্বন্ধ থাকে অথবা লগ্নপতির সপ্তমভাব অথবা সপ্তমভাবের স্থিত গ্রহের সঙ্গে সম্বন্ধ হয়, তা হলে প্রেম বিবাহ যোগ তৈরি হয়। শুক্রের শুভ গ্রহের সঙ্গে যোগ তথা জন্ম কুণ্ডলীর প্রথমভাব, পঞ্চমভাব আর নবমভাবের উপর বৃহস্পতির প্রভাব থাকে। লগ্নভাবে শুভরাশি এবং শুভ গ্রহের প্রভাব থাকে তথা মঙ্গল আর পঞ্চমভাব বলবান থাকে, তা হলে জাতক চরিত্রবান আদর্শ প্রেমিক হয়। এই ব্যক্তির প্রেম উচ্চকোটির হয়।
আরও পড়ুন:
৭) শুক্র আর চন্দ্রের যোগ জাতকের প্রেমের মধ্যে রসিকতা, আকর্ষণ, একাত্মতা তৈরি হয় (এই যোগে অনেক জাতকের বিবাহ বহির্ভুত সম্বন্ধ হতে দেখা যায়)।
৮) জন্মকুণ্ডলীতে পঞ্চমভাব, সপ্তমভাব তথা একাদশভাবের অধিপতিদের মধ্যে পরস্পর সম্বন্ধ থাকলে প্রেম বিবাহ যোগ তৈরি করে।
৯) পঞ্চমভাব এবং সপ্তমভাবের অধিপতিদের পরিবর্তন যোগ, পঞ্চমপতি এবং সপ্তমপতির যুক্তি তথা পঞ্চমপতি আর সপ্তমপতির মধ্যে দৃষ্টির সম্বন্ধ থাকলে প্রেম বিবাহ যোগ তৈরি হয়।
১০) জন্মকুণ্ডলীতে মঙ্গল যদি সপ্তমভাবে বা তার স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত হয় তাহলে সম্ভবত জাতক-জাতকার প্রেম বিবাহ হয়।