ভূত চতুর্দশী অশুভ তিথি। ভূত চতুর্দশী কী সে সম্পর্কে মতান্তর আছে। তবে সর্ব ক্ষেত্রেই অশুভ শক্তির উল্লেখ পাওয়া যায়। কেউ বলেন এই তিথিতে ভূতপ্রেত-সহ দৈত্যরাজের আগমন হয়। কারও মতে পূর্বপুরুষের আত্মা এই তিথিতে মর্তলোকে আসেন। অন্য মতে ভূত এবং প্রেতাত্মা নিয়ে দেবী কালী চামুণ্ডা রূপে ভক্তের গৃহে আগমন করেন অশুভ শক্তি নাশ করতে। সকল মতেই অশুভ শক্তির আগমনে ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এই অশুভ অন্ধকার থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যেই জ্বালানো হয় চোদ্দ প্রদীপ। বিশ্বাস করা হয় যে, চোদ্দ প্রদীপের আলোয় বাস্তুকে তথা বাড়ির সকল সদস্যকে অশুভ শক্তির কবল থেকে দূরে রাখা যাবে। একই সঙ্গে প্রদীপের আলোয় বাড়িতে শুভ শক্তির সঞ্চার ঘটবে।
আরও পড়ুন:
এই তিথিতে চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানোর সঙ্গে চোদ্দ প্রকার শাক খাওয়ারও রীতি রয়েছে। শাক ভেষজ গুণ সম্পন্ন, ফলে মানবশরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মানবশরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা যখনই কমে, তখনই বিভিন্ন রোগে আক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। ঋতু পরিবর্তনের সময় তা আরও বেশি বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই নিয়ম করে নির্দিষ্ট তিথিতে ওল, কেউ, বেতো, কালকাসুন্দে, নিমপাতা, জয়ন্তী, সর্ষে, সাঞ্চে, হিলঞ্চা, পলতা, শুল্কা, গুলঞ্চ, ঘেঁটু ও শুষনি, এই চোদ্দ প্রকার শাক খাওয়ার রীতি রয়েছে। তবে স্থানভেদে নিয়মের প্রভেদ হয়।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে:
চতুর্দশী আরম্ভ–
বাংলা– ২ কার্তিক, রবিবার।
ইংরেজি– ১৯ অক্টোবর, রবিবার।
সময়– দুপুর ১টা ৫৩ মিনিট।
চতুর্দশী শেষ–
বাংলা– ৩ কার্তিক, সোমবার।
ইংরেজি– ২০ অক্টোবর, সোমবার।
সময়– দুপুর ৩টে ৪৫ মিনিট।
আরও পড়ুন:
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে:
চতুর্দশী আরম্ভ–
বাংলা– ১ কার্তিক, রবিবার।
ইংরেজি– ১৯ অক্টোবর, রবিবার।
সময়– দুপুর ১টা ৫২ মিনিট ৪০ সেকেন্ড।
চতুর্দশী শেষ–
বাংলা– ২ কার্তিক, সোমবার।
ইংরেজি– ২০ অক্টোবর, সোমবার।
সময়– দুপুর ২টো ৫৫ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড।