বন্ধুর বাড়িতে নিজের দুই সন্তানকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করলেন যুবক। প্রতীকী ছবি।
বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে নিজের দুই সন্তানকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করলেন যুবক। স্ত্রীকে পেলেন গুরুতর জখম অবস্থায়। মূল অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ।
ঘটনাটি তামিলনাড়ুর তিরুভাল্লুর। অসমের বাসিন্দা দ্বারকা ভর কাজের সূত্রে স্ত্রী এবং সন্তানদের নিয়ে সেখানেই থাকতেন। তাঁর বন্ধুর বিরুদ্ধে দুই শিশুকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। যুবকের স্ত্রীকেও খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গোটা ঘটনায় পরকীয়া সম্পর্কের আঁচ করছে পুলিশ। অভিযুক্ত গুডুলু পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফিরে স্ত্রী বা সন্তান কাউকে দেখতে পাননি যুবক। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রী গুডুলুর বাড়িতে গিয়েছেন। এর পর যুবকও সেই বাড়িতে গিয়ে হাজির হন।
বন্ধুর বাড়ি গিয়ে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ থাকতে দেখেন যুবক। জানলা দিয়ে উঁকি মেরে দেখেন, মেঝেতে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী। পাশেই পড়ে আছে তাঁর দুই সন্তান, যাদের মুখে সেলোটেপ আটকানো। দ্রুত পুলিশে খবর দেন যুবক। পুলিশ এসে মহিলাকে উদ্ধার করে। মহিলার গলা কেটে দেওয়া হয়েছিল। অবিলম্বে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু দুই শিশুকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত গুডুলু পলাতক। তাঁকে খুঁজছে পুলিশ। তাদের অনুমান, অভিযুক্তের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই মহিলা। তার পর বচসার জেরে এই হত্যাকাণ্ড। অভিযুক্তকে খুঁজে বার করার জন্য পুলিশের বিশেষ চারটি দল গঠন করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy