হইহই করে দুপুরে সকলে স্কুলে মিড-ডে মিল খেয়েছিল। তার পরে আবার ক্লাস শুরু হয়। কিন্তু ক্লাসের মাঝখানেই আচমকা পড়ুয়াদের পেটে ব্যথা করতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বমি! পরিস্থিতি এমনই খারাপের দিকে গড়ায় যে, অসুস্থ পড়ুয়াদের হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। এক, দু’জন নয়, এক সঙ্গে প্রায় ৯০ জন পড়ুয়ার পেটে ব্যথা এবং বমির ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, মিড-ডে মিলের খাবার থেকেই বিষক্রিয়া হয়। আর তাতেই বিপত্তি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের দৌসা জেলার এক সরকারি স্কুলে। জানা গিয়েছে, মিড-মিলে সকলকে রুটি এবং সব্জি খেতে দেওয়া হয়েছিল। খাওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই কয়েক জন পড়ুয়া অসুস্থবোধ করতে শুরু করে। ঘণ্টা খানেক পরেই পড়ুয়াদের পেটে ব্যথা এবং বমি শুরু হয়। খবর পেয়ে স্কুলে চলে আসেন অভিভাবকেরা। প্রথমে কেউই বুঝতে পারছিলেন না, কী কারণে এত পড়ুয়া একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়ল। পরে সকলেই অভিযোগ করেন, মিড-ডে মিলের খাবার থেকেই বিষক্রিয়া হয়েছে পড়ুয়াদের!
প্রথমে একটি মেডিক্যাল টিমকে খবর দেওয়া হয়। তারা স্কুলে গিয়ে চিকিৎসা করে। তবে কয়েক জনের অবস্থা সঙ্গীন হওয়ায় তাদের হাসপাতালে পাঠাতে হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হঠাৎই রোগীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সকলকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত চিকিৎসক এবং নার্সকে আনা হয়। সন্ধ্যার পর থেকে অসুস্থ পড়ুয়ারা ধীরে ধীরে সুস্থ হতে শুরু করে। বর্তমানে সকলেই বিপন্মুক্ত।
আরও পড়ুন:
হাসপাতালে অসুস্থ পড়ুয়াদের দেখতে যান জেলাশাসক দেবেন্দ্র কুমার। হাসপাতাল পরিদর্শন এবং অসুস্থদের দেখে তিনি জানান, ঘটনার তদন্ত হবে। ইতিমধ্যেই ওই স্কুলের সে দিনের মিড-ডে মিলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যদি খাবার থেকে সত্যি বিষক্রিয়া হয়, তবে দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান দেবেন্দ্র। ওই স্কুলের মিড-ডে মিল তৈরির সঙ্গে যুক্ত এক কর্মী জানান, একই ময়দা দিয়ে আগের দিনও রুটি তৈরি করা হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, ঘটনার দিন পড়ুয়াদের দেওয়ার আগে দু’জন শিক্ষক ওই খাবার খেয়ে দেখেছিলেন ঠিক আছে কি না। তাঁদের কারও কিছু হয়নি!