ট্রেনের খালি কামরায় এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল হরিয়ানায়। সোমবার পুলিশ এই অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তরুণীর দাবি, ধর্ষণের পর তাঁকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রেললাইনের উপর ফেলে দেওয়া হয়। অচৈতন্য অবস্থায় রেললাইনে পড়ে থাকার সময় তাঁর পায়ের উপর দিয়ে ট্রেন চলে যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৪ জুন থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই মহিলা। তাঁর স্বামী থানায় জানিয়েছিলেন বিষয়টি। তিনি জানান, অশান্তি হওয়ায় বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন স্ত্রী। রাত পেরিয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় চিন্তা বাড়ে। দু’দিন পরে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তিনি। জানান, অতীতেও এমন হয়েছে। বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেও পরে নিজেই ফিরে আসতেন তাঁর স্ত্রী।
নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি কাছের একটি রেলস্টেশনে বসে ছিলেন। তখন এক অপরিচিত ব্যক্তি এসে তাঁকে জানান, তাঁর স্বামী পাঠিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। তা বিশ্বাস করেন ওই মহিলা। ওই ব্যক্তির সঙ্গে তিনি বাড়ির পথে হাঁটা দেন। কিন্তু হঠাৎই ওই ব্যক্তি তাঁকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনের খালি কামরায় জোর করে তোলেন। উঠে আসেন নিজেও। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। পরে আরও দু’জনও ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, অভিযুক্তেরা তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় তুলে সোনিপতে নিয়ে যান। তার পরে রেললাইনে ফেলে দেন। কুইলা থানার এসএইচও শ্রীনিবাস জানান, ওই মহিলাকে রেললাইনের উপর রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর পায়ের উপর দিয়ে ট্রেন চলে যাওয়ায় সেটা বাদ দিতে হয়েছে। মহিলার থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।