চাকরি খোয়ানো শিক্ষক করণ সাঙ্গওয়ান। ছবি: সংগৃহীত।
কোচিং ক্লাসে শিক্ষিত প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন এক শিক্ষক। তারপরই ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য কোচিং ক্লাস করানো একটি সংস্থা। নামজাদা ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের সামনে নিজের ব্যক্তিগত মতামত তুলে ধরে চাকরির শর্ত লঙ্ঘন করেছেন ওই শিক্ষক। তাই তাঁকে সরিয়ে দিতে তারা বাধ্য হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। এই ঘটনা নিয়ে টুইট করেছেন আম আদমি পার্টি (আপ)-এর প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তাঁর প্রশ্ন, শিক্ষিত জনপ্রতিনিধিকে ভোট দিতে বলা কি অপরাধ?
করণ সাঙ্গওয়ান নামের ওই যুবক সম্প্রতি কোচিং ক্লাসের মধ্যেই পড়ুয়াদের উদ্দেশে বলেন, “শুধুমাত্র শিক্ষিত প্রার্থীদেরই ভোট দিও।” তাঁর এই মন্তব্য সংবলিত ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। এই প্রসঙ্গে মুখ খুলে ওই শিক্ষক বলেন, “ওই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পর আমাকে তো বটেই, আমার ছাত্রছাত্রীদেরও নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।” একই সঙ্গে ওই শিক্ষক জানান, আগামী শনিবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে তিনি জানাবেন যে, আদতে তিনি পড়ুয়াদের কী বলেছিলেন।
এই প্রসঙ্গে কোচিং সংস্থাটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা রোমান সাইনি বলেন, “আমাদের পড়ুয়ারা যাতে পক্ষপাতমূলক কোনও শিক্ষা না পায়, সে দিকে আমাদের কড়া নজর থাকে। ক্লাসঘর আর যাই হোক, নিজের মতামত প্রকাশের জায়গা নয়।” সংস্থাটিকে এক হাত নিয়ে কেজরীওয়াল বলেন, “যদি কেউ শিক্ষার আলোয় না আসেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি তাঁকেও শ্রদ্ধা করি। কিন্তু জনপ্রতিনিধি কখনও অশিক্ষিত হতে পারেন না। অশিক্ষিত জনপ্রতিনিধিরা একবিংশ শতকের আধুনিক ভারত গড়ে তুলতে পারে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy