প্রথমে কেউ বুঝতে পারেননি। তবে মন্দিরের মধ্যে অনেক ক্ষণ এক যুবককে ঘোরাঘুরি করাতে সন্দেহ হয়। তখনই তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বেরিয়ে পড়ে আসল রহস্য। ওই যুবকের চশমার ফাঁকে আটকানো ‘স্পাই’ ক্যামেরা। তা দিয়েই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ভেতরে ভিডিয়ো রেকর্ড করার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার জগন্নাথ মন্দিরের ভেতর উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে ওই যুবকের উপর সন্দেহ হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। তাঁরাই তাঁকে আটকান। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম অভিশিত কর। ভুবনেশ্বরের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিশিতের চোখে যে চশমা ছিল সেটি ‘রে-ব্যান মেটা ওয়েফার’। চশমার উপরের দিকে কোণে ক্যামেরা লাগানো থাকে। সেই ক্যামেরা থেকে তোলা ছবি সরাসরি ফোনের সঙ্গে যুক্ত থাকে। প্রয়োজনে সমাজমাধ্যমেও সরাসরি ‘লাইভ’ করা যায় ওই চশমার সাহায্যে।
পুরীর পুলিশ সুপার সুশীল মিশ্র এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি এক জন যুবক চশমার মধ্যে লুকানো ক্যামেরা ব্যবহার করে মন্দিরের ভেতরে ভিডিয়ো করার চেষ্টা করছিলেন। আমরা ওই চশমা বাজেয়াপ্ত করেছি।’’ কেন ওই যুবক ভিডিয়ো তুলছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। নিছক মজা বা ব্যক্তিগত সংগ্রহের জন্য না কি এর নেপথ্যে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, জগন্নাথদেবের মন্দিরের ভেতরে ছবি তোলা নিষিদ্ধ। প্রবেশপথের মুখে বড় বোর্ডে সেই সতর্কবার্তা উল্লেখ রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, পুরীর মন্দিরের মধ্যে মোবাইল নিয়ে যাওয়াও নিষিদ্ধ।