মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু হয়েছিল গুলির লড়াই। তার মধ্যেই বুধবার ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনের বিজাপুর জেলায় আত্মসমর্পণ করলেন ন’জন মাওবাদী জঙ্গি। পুলিশ জানিয়েছে তাঁদের মধ্যে ছ’জনের মাথার মোট দাম ২৪ লক্ষ টাকা।
ছত্তীসগঢ় পুলিশের আইজি (বস্তার) পি সুন্দররাজ বুধবার দুপুরে জানিয়েছেন, পশ্চিম বিজাপুরের জঙ্গলে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপল্স লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) বাহিনীর লড়াই চলছে। এক মাওবাদী জঙ্গির দেহ উদ্ধার করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। আরও কয়েক জন জঙ্গি হতাহত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি জানান, এই নিয়ে চলতি বছরে বস্তার ডিভিশনে ২২৭ জন মাওবাদী সংঘর্ষে নিহত হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন মাওবাদী সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু ওরফে গগন্না, পলিটব্যুরোর সদস্য রামচন্দ্র রেড্ডি ওরফে চলপতি, এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নরসিংহচলম (সুধাকর) ও চৈতন্য ভেঙ্কট রবি ওরফে অরুণা।
আরও পড়ুন:
মাওবাদী নেতা-কর্মীদের মূল স্রোতে ফেরাতে গত বছর ছত্তীসগঢ় পুলিশ ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) প্রচার কর্মসূচি শুরু করেছিল। তার আগে ২০২০ সালের জুনে শুরু হয়েছিল ‘লোন ভারাতু’ (গোন্ড ভাষায় যার অর্থ ‘তোমার বাড়ি ফিরে যাও’) পুনর্বাসন কর্মসূচি। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই গত মার্চে ‘নকশাল আত্মসমর্পণ এবং আক্রান্তদের পুনর্বাসন নীতি ২০২৫’ ঘোষণা করেছিলেন। আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পুনর্বাসন, চাকরি, আর্থিক সহায়তা এবং আইনি সুরক্ষা প্রদান করার মতো নানা বিষয় রয়েছে ওই প্রকল্পে। নতুন আত্মসমর্পণ নীতিতে মাওবাদী সংগঠনের রাজ্য কমিটি, আঞ্চলিক কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোর সদস্যদের মতো উচ্চপদস্থ ক্যাডারদের এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে। বিষ্ণুদেও জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে মাওবাদীদের নির্মূল করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা পালন করতে ছত্তীসগঢ় বদ্ধপরিকর। তাঁর দাবি, শাহের ওই ঘোষণার পর থেকেই আত্মসমর্পণের ঢল নেমেছে বস্তার জুড়ে।