৮ মে, ২০২৫। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে হেলিকপ্টার ভেঙে মৃত্যু হয়েছিল সাত জনের। ওই ঘটনার দু’মাস পর প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করল বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (এএআইবি)। জানা গেল, জরুরি অবতরণের সময় ওভারহেড তারে জড়িয়ে যায় চপারের পাখা। তার জেরেই গোত্তা খেতে খেতে আছড়ে পড়েছিল যাত্রিবাহী চপারটি।
এএআইবি-র রিপোর্ট বলছে, সাত জন আরোহী নিয়ে ওড়ার মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই হেলিকপ্টারটিতে কোনও গোলমাল দেখা দেয়। বিপদ বুঝে পাইলট তড়িঘড়ি উত্তরকাশী-গঙ্গোত্রী জাতীয় সড়কে জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেন। কিন্তু জরুরি অবতরণের সময় বেল ৪০৭ নামে ওই হেলিকপ্টারের মূল পাখাটি (রোটার) জড়িয়ে যায় ওভারহেড তারে। পরমুহূর্তেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা নীচে আছড়ে পড়ে চপারটি।
আরও পড়ুন:
অ্যারোট্রান্স সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড পরিচালিত ওই হেলিকপ্টারটি ৮ মে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে দেহরাদূনের সহস্ত্রধারা হেলিপ্যাড থেকে গঙ্গোত্রী মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। যমুনোত্রী থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে খারসালি হেলিপ্যাডে অবতরণের কথা ছিল সেটির। কিন্তু তার আগেই উত্তরকাশীর গাঙ্গনানির কাছে ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টারটি। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ছ’জন তীর্থযাত্রী এবং পাইলটের। এক জন গুরুতর আহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন পাইলট রবিন সিংহ (৬০), বিজয়লক্ষ্মী রেড্ডি (৫৭), রাধা আগরওয়াল (৭৯), রুচি আগরওয়াল, কালা চন্দ্রকান্ত সোনি (৬১) এবং বেদান্তি (৪০)৷ গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুরের বাসিন্দা মক্তুর ভাস্করকে। দ্রুত বিমানে করে নিয়ে গিয়ে ঋষিকেশের এমসে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। সেই ঘটনার দু’মাস পর অবশেষে দুর্ঘটনার কারণ জানা গেল।