দিল্লিতে বিধানসভা ভোটের হারের পর এ বার পঞ্জাবে আম আদমি পার্টি (আপ)-র নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। মঙ্গলবার পঞ্জাবে আপের সব মন্ত্রী এবং বিধায়ককে নিয়ে ওই বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাঁর। দিল্লিতে আপের হারের পরেই পঞ্জাবে দলবদলের সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। সে রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা দাবি করেছেন, আপের প্রায় ৩০ জন বিধায়কের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ রয়েছে। এই আবহেই মঙ্গলবার পঞ্জাবের আপ নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন কেজরী।
দিল্লিতে এক দশকের আপ শাসনের অবসান হয়েছে। ২৭ বছর পরে ফের রাজধানীতে ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি। দিল্লির ভোটে কেজরীর দল পরাস্ত হওয়ার পরেই পঞ্জাব বিধানসভার বিরোধী দলনেতা প্রতাপ সিংহ বাজওয়া দাবি করেন, অনেক দিন ধরেই আপ বিধায়কদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। বাজওয়ার কথায়, “ওঁরা (পঞ্জাবের আপ বিধায়কেরা) বুঝতে পেরেছেন ওঁদের চাঁদে যাওয়ার টিকিট দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে ফেরার টিকিট দেওয়া হয়নি।” তার পর থেকেই জল্পনা ছড়িয়েছে, পঞ্জাবে আপ বিধায়কদের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে নিতে পারে কংগ্রেস।
২০২২ সালে পঞ্জাবের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসকে হারায় কেজরীর দল। দিল্লির পরে পঞ্জাবেও গঠিত হয় আপ সরকার। ১১৭টি আসনের মধ্যে ৯২টি আসনেই জয়ী হয় আপ। কংগ্রেস পায় মাত্র ১৮টি আসন। শিরোমণি অকালি দল জেতে তিনটি আসনে। দিল্লির ভোটের পর বাজওয়া বলেন, “পঞ্জাববাসী তথাকথিত কট্টর ন্যায়পরায়ণ দলের আসল মুখ দেখে ফেলেছেন। দিল্লির ভোটের ফল আপের শেষের শুরুর দিকে ইঙ্গিত করছে।”
আরও পড়ুন:
দিল্লির ভোটের ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পরেই পঞ্জাবের মন্ত্রী-বিধায়কদের নিয়ে কেজরীর বৈঠককে অবশ্য একটি ‘চলমান প্রক্রিয়া’ হিসাবেই ব্যাখ্যা করছেন আপ সাংসদ মলবিন্দর সিংহ। তাঁর বক্তব্য, আগামীর রূপরেখা তৈরি করতে দলীয় নেতাদের মতামত গ্রহণ করবেন কেজরী। মলবিন্দর বলেন, “ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করাতে এই সাংগঠনিক বৈঠক করা হচ্ছে। আগামীকাল পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং অন্য বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করবেন কেজরীওয়াল।”