বিধানসভা ভোট গণনার আগে দিল্লিতে অভিযোগ উঠল প্রার্থী কেনাবেচার রাজনীতির। নিশানায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল।
দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ‘আম আদমি পার্টি’ (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেন, গণনার আগে তাঁর দলের ‘সম্ভাব্য জয়ী’ প্রার্থীদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ শুরু করেছে বিজেপি। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দলের ১৬ জন প্রার্থীকে ফোন করে বলা হয়েছে, বিজেপিতে যোগ দিলে ১৫ কোটি টাকা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে মিলবে মন্ত্রীর পদ।’’
দিল্লির বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সুলতানপুর-মাজরা কেন্দ্রের আপ প্রার্থী মুকেশ অহলয়ত জানান, তাঁকে ফোন করে টাকা এবং মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কেজরী এবং তাঁর দলের নেতারা সমাজমাধ্যমেও এই অভিযোগ তুলেছেন। বিজেপির দিল্লি প্রদেশ সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব শুক্রবার আপ নেতাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাব। অন্য দলের বিধায়কদের সাহায্যের প্রয়োজন হবে না। কেজরী বুঝে গিয়েছেন আপ হারতে চলেছে। তাই হতাশা থেকেই মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’’
বুধবার দিল্লি বিধানসভার ৭০টি আসনে ভোট হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, ৬০.৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে। শনিবার গণনার আগে দু’শিবিরই জয়ের দাবি করলেও অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস, আপকে সরিয়ে এ বার ক্ষমতা দখল করতে চলেছে বিজেপি। এর আগে বিজেপি শেষ বার দিল্লির বিধানসভা ভোটে জিতেছিল ১৯৯৩ সালে। ২০২০ সালের ভোটে ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় আপ জিতেছিল ৬২টি আসনে। বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল মাত্র আটটি আসন। দিল্লিতে এ বার আপ, কংগ্রেস এবং মায়াবতীর বিএসপি (বহুজন সমাজ পার্টি) ৭০টি আসনেই লড়েছে। অন্য দিকে, বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে ৬৮টি আসনে। একটি করে আসন ছেড়েছে এনডিএ-র দুই সহযোগী, জেডিইউ এবং এলজেপি (রামবিলাস)-কে।