Advertisement
E-Paper

স্যর ক্রিকে ভারতের যুদ্ধমহড়া, আশঙ্কিত পাকিস্তান! বিমান চলাচলে বিধিনিষেধ, পাল্টা সেনা সমাবেশেরও প্রস্তুতি?

সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার সমন্বয় বাড়াতে ৩০ অক্টোবরের গুজরাত সীমান্ত ও আরব সাগরে শুরু হচ্ছে ‘অপারেশন ত্রিশূল’। ভারতীয় স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনার এই সংযুক্ত যুদ্ধাভ্যাস চলবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:০৯
Ahead of India’s Trishul exercise Pakistan restricts airspace along border

(বাঁ দিকে) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

গুজরাত সীমান্তে ভারতীয় সেনার যুদ্ধমহড়া নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল পাকিস্তান। মধ্য ও দক্ষিণ আকাশসীমা জুড়ে একাধিক বিমান রুটে বিমান চলাচলের উপর বিধিনিষেধ জারি করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পাক সরকার। যদিও আগামী ২৮-২৯ অক্টোবরের জন্য আকাশসীমা বন্ধের উদ্দেশ্যে জারি করা ওই ‘নোটাম’ (বিমানকর্মীদের উদ্দেশে নোটিশ)-এর কোনও কারণ জানানো হয়নি।

ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার সমন্বয় বাড়াতে ৩০ অক্টোবরের গুজরাত-রাজস্থান সীমান্ত ও আরব সাগরে শুরু হচ্ছে ‘অপারেশন ত্রিশূল’। ভারতীয় স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনার এই সংযুক্ত যুদ্ধাভ্যাস চলবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। বস্তুত কয়েক বছর ধরেই সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার সমন্বয় নিবিড় করতে তৎপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বর্তমানে ভারতীয় স্থলসেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনার দেশ জুড়ে পৃথক পৃথক কমান্ড রয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল, ‘থিয়েটারাইজ়েশন’ পদ্ধতির মাধ্যমে তিন বাহিনীর ভিন্ন ভিন্ন কমান্ডের পরিবর্তে অভিন্ন ‘থিয়েটার কমান্ড’ গঠন করা।

আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের মতো দেশের সশস্ত্র বাহিনীতে ‘থিয়েটারাইজ়েশন’ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এর ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার। বাড়বে শত্রুর মোকাবিলার ক্ষমতাও। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না পাক ফৌজ। ‘নোটাম’ জারির উদ্দেশ্যে স্যর ক্রিক-সহ গুজরাত সীমান্তে সেনা সমাবেশ হতে পারে বলেও মনে করছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, সিন্ধু নদের ব-দ্বীপে তৈরি হয়েছে প্রায় ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ খাঁড়িবেষ্টিত অঞ্চল স্যর ক্রিক। জম্মু ও কাশ্মীরের মতোই এই অঞ্চলটির সীমান্ত চিহ্নিতকরণ নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘ বিতর্ক রয়েছে। কচ্ছের রণের পশ্চিমে অবস্থিত নালা এবং জলাভূমি এলাকা পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ থেকে আলাদা করে রেখেছে গুজরাতকে। এই অঞ্চলে নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফের বিশেষ বাহিনী ‘ক্রিক ক্রোকোডাইল’। ১৯৯৯ সালে স্যর ক্রিক এলাকাতেই অনুপ্রবেশকারী পাক নজরদার বিমানকে ধ্বংস করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। ওই ঘটনায় ১৬ জন পাক সেনা নিহত হয়েছিলেন। সম্প্রতি স্যর ক্রিক অঞ্চলে নতুন করে পাক সেনার সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

IAF Pakistan Airspace Indian Defence System Trishul Sir Creek Military Theatre Command Indian Army Indian Navy Defence
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy