দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রভোট হচ্ছে বৃহস্পতিবার। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি), ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া (এনএসইউআই), স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (এসএফআই) এবং অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আইসা)— এই চারটি সংগঠনই তাদের মতো করে প্রচার চালিয়েছে। তবে এই ভোটে এ বার নজর কেড়েছে এবিভিপি-র প্রচার কৌশল।
প্রযুক্তির যুগে ভোটপ্রচারের কৌশলও বদলে যাচ্ছে। সশরীরে যত মানুষের কাছে পৌঁছোনো যায়, তার তুলনায় সমাজমাধ্যমকে প্রচারকৌশলে কাজে লাগিয়ে এখন অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছোনো যায়। আর রাজনৈতিক দলগুলি সেই কৌশলকেই বিপুল ভাবে ভোটের কাজে ব্যবহার করছে। পিছিয়ে নেই কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ছাত্রভোটও। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রভোটে তেমনই বেশ কিছু কৌশল নজর কেড়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে প্রচারে নেমেছেন এবিভিপি-র প্রার্থী কুণাল চৌধরি।
তাঁর হয়ে ‘প্রচার’ করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক এবং অ্যামাজ়ন সিইও জেফ বেজোসও। কুণালের হয়ে প্রচার তো করেইছেন, শুধু তা-ই নয়, তাঁর হয়ে ভোট দিতেও আহ্বান জানাতে দেখা গিয়েছে। হোয়াইট হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন ট্রাম্প। তিনি বলছেন, ‘‘কুণাল চৌধরি খুব স্মার্ট এবং টাফ। এবিভিপি-র সম্পাদক ও-ই হবে। বিশ্বাস করুন, ওর থেকে আর কেউ ভাল কাজ করতে পারবে না। শুধু ব্যালট নম্বর ৩ মনে রাখবেন।’’ আরও একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, স্পেসএক্স-এর মহাকাশযানের সামনে দাঁড়িয়ে ইলন মাস্কও কুণালের হয়ে প্রচার করছেন। তিনি বলছেন, ‘‘কুণাল চৌধরি রকেটের মতো। দিল্লি ইউনিভার্সিটির ভবিষ্যতের লঞ্চপ্যাড একমাত্র কুণালই।’’ জেফ বেজোসকেও কুণালের হয়ে ভোট প্রচার করতে দেখা গিয়েছে।
তবে তাঁরা কেউ সশরীরে কুণালের হয়ে প্রচার করেননি। আবার এই ভোটপ্রচারে চরিত্রগুলিরও কোনও বাস্তবতা নেই। গোটাটাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌলতে। কোনও দেশীয় নেতা বা দলীয় নেতা নয়, একেবারে ট্রাম্প, মাস্ক, বেজোসকে কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তুলে নিয়ে এসেছে এবিভিপি।
বৃহস্পতিবার দু’দফায় ভোট হবে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট। দুপুর ১টা পর্যন্ত সেই ভোট হয়েছে। দ্বিতীয় দফার ভোট হবে দুপুর ৩টে থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। ভোটগণনা ১৯ সেপ্টেম্বর।