মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শাস্তিমূলক শুল্কের কারণে শুধু চিংড়ি রফতানির ক্ষেত্রেই অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। এই পরিস্থিতিতে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির সহযোগী তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের কাছে অন্ধ্রের চিংড়িচাষিদের স্বার্থে পদক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন।
সরকারি তথ্য বলছে, এত দিন পর্যন্ত চিংড়ি-সহ যে পরিমাণ সমুদ্র থেকে আহরণ করা ও নোনা জলের চাষ করা খাদ্যপণ্য (মাছ, চিংড়ি, অক্টোপাস, অয়েস্টার ইত্যাদি) ভারত থেকে রফতানি করা হত, তার মধ্যে প্রায় ৩৫ শতাংশ যেত আমেরিকায়। কিন্তু ট্রাম্পের শাস্তিমূলক শুল্কের জেরে তা প্রায় অর্ধেকেরও নীচে নেমে এসেছে। আর এর ফলে সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। কারণ, দেশের মোট চিংড়ি রফতানির ৮০ শতাংশই করে চন্দ্রবাবুর রাজ্য! বস্তুত, চিংড়ির ক্ষেত্রে শুল্কের পরিমাণ প্রায় ৬০ শতাংশ। ২৫ শতাংশ জরিমানা-সহ ৫০ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি ৫.৭৬ শতাংশ ক্ষতিপূরণ শুল্ক এবং ৩.৯৬ শতাংশ ‘অ্যান্টি ডাম্পিং’ (ভারতীয় চাষিদের পাওয়া ভর্তুকি প্রতিরোধী শুল্ক) চেপেছে চিংড়ি রফতানির উপর।
আরও পড়ুন:
যার জেরে কন্টেনার পিছু ৫৯.৭২ শতাংশ শুল্ক গুনতে হচ্ছে চিংড়ি রফতানিতে। এই নীতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ২,০০০ কন্টেনারের উপর চেপেছে করের বোঝা। এই আবহে মোদী সরকারের সাহায্য চেয়ে কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এবং মৎস্যমন্ত্রী রাজীবরঞ্জন সিংহকে চিঠি লিখেছেন চন্দ্রবাবু। সেই চিঠিতে কেন্দ্রের কাছে চিংড়ি উৎপাদনে জিএসটি ছাড় এবং চাষিদের জন্য আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানানো হয়েছে। সামুদ্রিক ও জলজ পণ্য যাতে অভ্যন্তরীণ বাজারে বিক্রি করা যায় তার জন্য উদ্যোগী হওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষকে লিখেছেন, ‘‘রফতানি বাড়িয়ে অন্ধ্রের ৩০ লক্ষ চিংড়ি ও মৎস্য উৎপাদকের সমস্যা দূর করতে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তির চেষ্টা শুরু হোক।’’