বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জবাব’ দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ভারতের এক চিকেন’স নেক-এর বদলে তাঁর নিশানায় বাংলাদেশের দু’টি চিকেন’স নেক।
হিমন্ত বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আমাদের একটি চিকেন’স নেক আছে। কিন্তু বাংলাদেশের দু’টি। যদি বাংলাদেশ আমাদের চিকেন’স নেক আক্রমণ করে, তা হলে আমরা বাংলাদেশের দু’টি চিকেন’স নেক আক্রমণ করব। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে সংযোগকারী চিকেন’স নেক অতি সঙ্কীর্ণ। কার্যত ঢিল ছোড়া দূরে।’’
২০ কিলোমিটার চওড়া শিলিগুড়ি করিডোর থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে লালমনিরহাটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের একটি বিমানঘাঁটি পুনর্নির্মাণে চিন বাংলাদেশ বায়ুসেনাকে সাহায্য করছে বলে অভিযোগ। যা ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। যদিও পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রসঙ্গ তুলে হিমন্তের দাবি, বাংলাদেশ কখনও ভারত আক্রমণ করতে যাবে না।
মার্চ মাসে চিন সফরে গিয়ে শিলিগুড়ি করিডর (যা ভারতের ‘চিকেন নেক’ নামে পরিচিত) নয়াদিল্লিকে খোঁচা দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ছাড়া ওই সঙ্কীর্ণ করিডরও উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম বলে জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘উত্তর-পূর্ব ভারত স্থলবেষ্টিত এবং ঢাকা এই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।’’ এরই জবাবে জোড়া চিকেন’স নেকের কথা বলেছেন হিমন্ত।
প্রসঙ্গত, ফেনী নদীর তীরে অবস্থিত দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুম থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলা চট্টগ্রাম বন্দরকে সে দেশের অন্যান্য অংশের সাথে সংযুক্ত করেছে। বাংলাদেশের ওই চিকেন’স নেকের প্রস্থ ৩০ কিলোমিটারেরও কম। ইউনূসের দেশের দ্বিতীয় চিকেন’স নেক মেঘালয় সীমান্ত লাগোয়া। ওই রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম গারো পাহাড় থেকে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের মধ্যবর্তী চিকেন’স নেক-এর উত্তরে রয়েছে উত্তর বাংলাদেশের গোটা রংপুর ডিভিশন।