Advertisement
E-Paper

ইন্ডিগোর দিল্লিগামী বিমানে শ্বাসকষ্ট ছ’মাসের শিশুর, মাঝ আকাশে প্রাণ বাঁচালেন দুই চিকিৎসক

শনিবার নির্ধারিত সময়েই রাঁচী থেকে ছেড়েছিল বিমানটি। বিমান ছাড়ার কিছু পরেই শিশুটির তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কাঁদতে শুরু করেন শিশুটির মা।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৪০
Baby on Indigo plane gasping for breath saved by twp doctors in mid-air

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ইন্ডিগোর দিল্লিগামী একটি বিমানে এক ছ’মাসের শিশুর পরিত্রাতা হলেন দুই চিকিৎসক। শনিবার ঝাড়খণ্ডের রাঁচী থেকে ওই বিমান ছাড়ার কিছু সময় পরেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এক শিশুর। শিশুটির বাবা-মা সন্তানের প্রাণ বাঁচানোর আর্জি জানান। বিমান কর্তৃপক্ষ চলন্ত বিমানেই জরুরি ঘোষণা করে যাত্রীদের মধ্যে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী কেউ থেকে থাকলে তাঁদের সাহায্য করার জন্য আর্জি জানান। অবশেষে শিশুটির সহায় হন দুই চিকিৎসক। মূলত তাঁদের সাহায্যেই প্রাণ ফিরে পায় শিশুটি। পরে তাঁকে দিল্লির এমস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

শনিবার নির্ধারিত সময়েই রাঁচী থেকে ছেড়েছিল বিমানটি। বিমান ছাড়ার কিছু পরেই শিশুটির তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কাঁদতে শুরু করেন শিশুটির মা। ওই বিমানেই ছিলেন চিকিৎসক তথা ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নিতিন কুলকার্নি। ছিলেন রাঁচী সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মোজাম্মিল ফিরোজও। শিশুটির কাছে তাঁরা দ্রুত পৌঁছে যান। তাঁরা জানতে পারেন যে, শিশুটির হৃদ্‌যন্ত্রে সমস্যা রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেন মাস্কের সাহায্যে শিশুটির শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করেন দুই চিকিৎসক। শিশুটির বাবা-মায়ের কাছে থাকা একটি ইঞ্জেকশনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় বলে জানান চিকিৎসক কুলকার্নি।

তবে সমস্যাও ছিল বিস্তর। অক্সিমিটার না থাকায় শিশুটির ব্লাড স্যাচুরেশন বুঝতে পারেননি চিকিৎসকেরা। বিমানে ছিল না ছোটদের অক্সিজেন মাস্কও। হৃদ্‌যন্ত্রের গতি বুঝতে স্টেথোস্কোপের উপরেই ভরসা রাখেন দুই চিকিৎসক। বিমানটি দিল্লি বিমানবন্দরে নামার আগেই প্রস্তুত ছিল একটি মেডিক্যাল টিম। ওই টিম শিশুটির স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার পরেই তাঁকে এমস-এ ভর্তি করানো হয়। পরে কুলকার্নি বলেন, “বিমানের ভিতর প্রথম ১৫-২০ মিনিট খুবই প্রতিকূল ছিল। ভাল লাগছে যে, আমাদের চেষ্টা সফল হয়েছে। এটাই চাইব যে, শিশুটি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।”

গত অগস্ট মাসেও বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লিগামী একটি বিমানে ২ বছরের এক শিশুর শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায়, তাঁকে প্রাণে বাঁচান দিল্লি এমস-এর পাঁচ চিকিৎসক।

Indigo Flight Breathing Problems child Doctors
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy