Advertisement
E-Paper

দুর্গাপুজোর আগে ভারতে টন টন ইলিশ পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ, তবে গত বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেকে নামল সৌজন্য-রফতানি

গত বছরের পুজোর মরশুমে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক প্রথমে প্রায় ৩,০০০ টন ইলিশ ভারতে রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু পরে তা কমিয়ে ২,৪২০ টন ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। এ বছর তা আরও কমিয়ে আনল ইউনূস সরকার।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:০০
ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। —ফাইল চিত্র।

দুর্গাপুজোর মরসুমে ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এ বছরে ভারতে ১,২০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিল তারা। যদিও গত বছরের তুলনায় ভারতে ইলিশ রফতানি প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার।

গত বছরের পুজোর মরসুমে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক প্রথমে প্রায় ৩,০০০ টন ইলিশ ভারতে রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু পরে তা কমিয়ে ২,৪২০ টন ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। এ বার তা আরও কমিয়ে ১,২০০ টন রফতানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। প্রতি কেজি ইলিশ ন্যূনতম সাড়ে ১২ ডলারে রফতানি করা যাবে।

বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের ইলিশের, বিশেষ করে পদ্মার ইলিশের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশের জাতীয় রফতানি নীতি (২০১৫-১৮) অনুসারে, শর্তসাপেক্ষে রফতানি পণ্যের তালিকায় রয়েছে ইলিশ। তবে বিদেশে ইলিশ রফতানির প্রথম অনুমতি দেওয়া হয় ২০১৯ সালে। তখন থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পুজোর সময়ে ভারতে ইলিশ পাঠানো হত। শেখ হাসিনার সরকার ইলিশ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও দুর্গাপুজোর সময়ে ভারতে ইলিশ রফতানি হয়ে আসছে গত বেশ কয়েক বছর ধরে।

ভারতে শর্তসাপেক্ষে ১২০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

ভারতে শর্তসাপেক্ষে ১২০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

তবে গত বছর হাসিনার সরকারের পতনের পরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রফতানিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। ইউনূস প্রশাসন প্রথমে জানিয়েছিল, উৎসবের মরসুমে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ রাখা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদার কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছিল। নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ নেই বলেও জানিয়েছিল মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। যদিও পরে ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয় তারা। পরবর্তী সময়ে ইউনূস সরকার এ-ও জানিয়েছিল, ইলিশের মতো ‘ক্ষুদ্র ইস্যু’ ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কে কোনও প্রভাব ফেলবে না। তবে এ বার ভারতে ইলিশ রফতানি গত বছরের তুলনায় অর্ধেকে নামিয়ে আনল তারা।

Hilsa Fish Hilsa Bangladesh interim government
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy