বাংলা সাহিত্যের আসর বসল রাজধানীতে। ১৯-২০ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে হয়ে গেল ‘বাংলা সাহিত্য উৎসব ২০১৮’।
এই সাহিত্য উৎসবের আয়োজন করেছিলেন জাকির হুসেন সান্ধ্য কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের সলমন গনি হাসমি প্রেক্ষাগৃহে সাহিত্য উৎসবের আসরে পড়ুয়ারা ছাড়াও ভিড় জমিয়েছিলেন বহু উৎসাহী। গোটা উৎসবের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান মুন্সি মহম্মদ ইউনুস।
প্রথম দিন উৎসবের সূচনা করেন আধুনিক ভারতীয় ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক পি সি পট্টনায়ক। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তরুণ কুমার দাস। ইউনুসের গল্প সংগ্রহ ‘মোহসূত্র’ এবং রূপকুমার আরির ‘স্বাধীনতা পরবর্তী দিল্লির বাংলা সাহিত্যচর্চা’ বইদু’টিরও আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন শর্মিষ্ঠা সেন এবং বিতান চক্রবর্তী। সাম্প্রতিক বাংলা সাহিত্য নিয়ে একটি আলোচনাসভারও আয়োজন হয়।
উৎসবে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশিত হয় মুন্সী মহম্মদ ইউনুসের কবিতা সংকলন।
আরও পড়ুন:
উৎসবের দ্বিতীয় দিনেও যথেষ্ট ভিড় চোখে পড়ে। ওই দিন পারমিতা ভৌমিকের ‘শূন্যের কাছে স্বীকারোক্তি’ গ্রন্থ সম্পর্কিত আলোচনায় যোগদান করেন অধ্যাপক দিলীপকুমার বসু। বিতান চক্রবর্তীর ‘অভিনেতার জার্নাল’ নিয়ে আলোচনা করেন প্রখ্যাত অধ্যাপক নবেন্দু সেন। সঙ্গে বিশেষ চমক ছিল বিশিষ্ট বাঙালিদের সম্মাননা জ্ঞাপন। অধ্যাপক জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায়, বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তপন সেনগুপ্ত এবং অধ্যাপক দিলীপ বসুকে তাঁদের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়। ‘২০১৮ সম্ভাবী সম্মান’-এ ভূষিত করা হয় সাহিত্যিক নবেন্দু সেনকে। এ ছাড়াও দিল্লির নবীন-প্রবীণ কবিদের স্বরচিত কবিতাপাঠের আসরও বসে সে দিন।