স্ত্রীকে খুন করে, তা দুর্ঘটনার হিসাবে দেখানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠল বেঙ্গালুরুর এক যুবকের বিরুদ্ধে। কিন্তু সব ছক ভেস্তে যায়। পুলিশের জালে ধরা পড়েন তিনি।
বেঙ্গালুরুর বিজয়নগর জেলার বাসিন্দা অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে বছর খানেক আগে ইনস্টাগ্রামে আলাপ হয় এক যুবতীর। সেই থেকে বন্ধুত্ব এবং শেষে বিয়ে। ন’মাস আগে বিয়ে হয় দু’জনের। গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরুর মারাগোন্ডানহাল্লি এলাকার এক আবাসনের ফ্ল্যাটের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় ওই যুবতী দেহ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় স্থানীয় থানার পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে মৃতার স্বামী এবং বাড়ির লোকেরা জানান, ওই মহিলা স্নান করার সময় হিটারের থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু এই দাবি মানতে নারাজ ছিল ম়ৃতার বাপের বাড়ির পরিবার। তাদের দাবি, কয়েক দিন ধরেই কোনও কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। শুধু তা-ই নয়, ওই শৌচাগারের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ থাকায় আরও সন্দেহ জাগে।
আরও পড়ুন:
মৃতার বোনের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে মৃতার স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, জেরার মুখে স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত। কেন তিনি খুন করলেন? অভিযুক্ত জানিয়েছেন, নানা কারণে সম্প্রতি স্ত্রীর উপর সন্দেহ হয় তাঁর। সেই নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তিও চলছিল। ঘটনার দিন রাগের বশে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন অভিযুক্ত। পরে ভয় পেয়ে গিয়ে বিষয়টি দুর্ঘটনা বলে সাজানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে পুলিশকে জানান ওই যুবক।