E-Paper

মিজ়োরামে নারী ক্ষমতায়ন, মাদক দমনে জোর পদ্মের

নড্ডা জানান, বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যের ৩৩ শতাংশ চাকরি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হবে। প্রতিটি কন্যাশিশুকে দেড় লক্ষ টাকার সাহায্য প্রদানের উদ্দেশে রানি লুপুইলিয়ানির নামাঙ্কিত প্রকল্প হাতে নেবে বিজেপি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৫৬
JP Nadda.

জেপি নড্ডা। ছবি: পিটিআই।

নারী ক্ষমতায়ন, মাদকমুক্ত মিজ়োরাম গঠন ও রাজ্যের শিক্ষা পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর অঙ্গীকার করে মিজ়োরাম ভোটের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করল বিজেপি। দলের জাতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু আইজলে সাড়ম্বরে প্রকাশ করেন তাঁদের ‘ভিশন ডকুমেন্ট’। নড্ডা জানান, বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যের ৩৩ শতাংশ চাকরি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হবে। প্রতিটি কন্যাশিশুকে দেড় লক্ষ টাকার সাহায্য প্রদানের উদ্দেশে রানি লুপুইলিয়ানির নামাঙ্কিত প্রকল্প হাতে নেবে বিজেপি।

‘ভিশন ডকুমেন্ট’ অনুযায়ী বিজেপির আমলে ২৫০ ও ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নতুন করে তৈরি করা হবে। সরকারি স্কুল-কলেজের ভোল বদলে ফেলা হবে। তৈরি হবে রাজ্য ক্রীড়া অ্যাকাডেমি যেখানে প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদদের সম্পূর্ণ ভার নেবে রাজ্য। এ ছাড়া মিজ়োরাম অলিম্পিক মিশন গড়ে তুলে আনা হবে অলিম্পিক পর্যায়ের ক্রীড়া প্রতিভাদের। বিশেষ জোর দেওয়া হবে ফুটবল, ভারোত্তোলন, কুস্তি, হকি ও ব্যাডমিন্টনে। কেন্দ্রের সাহায্যে জ়োরাম মেডিক্যাল কলেজকে রিমস্-এ উন্নীত করা হবে।

নড্ডার বক্তব্য, “বিজেপি রিপোর্ট কার্ডে বিশ্বাসী, ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতিতে নয়। প্রধানমন্ত্রীর মতে, রাজনীতিতে লিঙ্গ, ধর্ম, জাতি, গোষ্ঠী, ভাষার বৈষম্য নয়, সকলের উন্নয়নই বড় কথা।”

মিজ়োরামে সিংহভাগ আসনেই মিজ়োদের আধিপত্য। এ দিকে মণিপুরে জো-কুকিদের উপরে অত্যাচারের জেরে ও মায়ানমার-বাংলাদেশ থেকে আসা চিন-কুকি শরণার্থীদের কেন্দ্র সাহায্য না করায় বিজেপির বিরুদ্ধে জনমত প্রবল। তাই বিজেপি অ-মিজ়ো এলাকায় জোর বাড়াতে সচেষ্ট। গত বার ৩৯টি আসনে প্রার্থী দিলেও একটি জয়, একটি আসনে দ্বিতীয় হওয়া ছাড়া বাকি আসনে তার তিন, চার নম্বরে ছিল। একমাত্র বিধায়ক বুদ্ধধন চাকমাও রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন। এ বার আসন বাড়াতে মরিয়া বিজেপির হয়ে প্রচারে আসছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহেরা।

এ দিকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ আইজলে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, বিজেপি আঞ্চলিক দলগুলিকে সামনে রেখে গোটা উত্তর-পূর্ব দখল করতে চাইছে। মিজ়োরামের শাসক দল এমএনএফ বিজেপি-বিরোধিতা করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইলেও তারা এনডিএ ও নেডা জোটের শরিক। রমেশ বলেন, ‘‘সামনে যে আঞ্চলিক দলই ক্ষমতায় থাকুক পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে সেই বিজেপিই। তারা একই মুদ্রার দুই পিঠ। বিজেপির কাজই হল ধর্ম, সংস্কৃতি, সম্প্রদায়, ভাষার ভিত্তিতে বিভাজন ঘটানো। এমএনএফকে ভোট দেওয়া মানেই বিজেপিকে জেতানো।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

JP Nadda Mizoram BJP

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy