তিন দিন আগে তাঁকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। নির্যাতিতা সেই দলিত তরুণীর দেহ উদ্ধার হল বাড়ি থেকে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদের লোনি এলাকায়। পরিবার সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তরুণী। চিকিৎসার পাশাপাশি তাঁর কাউন্সেলিংও চলছিল।
পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, গত ১৯ অগস্ট দিল্লির ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান বিহেভিয়ার অ্যআন্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস-এ নির্যাতিতাকে ভর্তি করানো হয়েছিল। ২০ অগস্ট তাঁকে হাসপাতালে থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়। তার পর বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় তরুণীকে। বৃহস্পতিবার সকালে ডাকাডাকি করেন তাঁর বাবা। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না। সন্দেহ হওয়ায় ঘরের দরজা ভাঙতেই পরিবারের লোকেরা দেখেন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তরুণী।
তাঁর দেহ উদ্ধারের পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তরুণীর আত্মীয় এবং গ্রামবাসীরা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে থানা ঘেরাও করেন তাঁরা। অভিযুক্তদের খোঁজে পাঁচটি দল গঠন করে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। গত সোমবার কাউকে না জানিয়ে বা়ড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তরুণী। স্থানীয় সূত্রে খবর, এর আগেও এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তরুণী। পরিবারের লোকজন এবং পড়শিরা তাঁকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু গত সোমবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে তাঁর কোনও হদিস পাননি পরিবারের লোকেরা। কয়েক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর বাড়ি থেকে সাড়ে ৬ কিলোমিটার নিঠোরি গ্রামে একটি টিউবওয়েলের সামনে বিবস্ত্র এবং আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘মেয়ের পোশাক ছেঁড়া ছিল। শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষতের দাগ। কাঁদতে কাঁদতে আমাকে বলল, ও পথ হারিয়ে ফেলেছিল। তিন যুবকের কাছে সাহায্য চায়। তখন তাঁরা মেয়েকে বাইকে করে বাড়ি নামিয়ে দেবে বলে জানায়। লোনিতে তাকে না নিয়ে গিয়ে নিঠোরি গ্রামে নিয়ে আসে। তার পর তাকে তিন জন মিলে ধর্ষণ করেন।’’
পুলিশ জানিয়েছে, তিন অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।