প্রতীকী ছবি।
বরযাত্রীর থালায় পাঁঠার মাংস নেই কেন এই নিয়ে হুলস্থূল পড়ে গেল এক বিয়েবাড়িতে। প্রথমে কথা কাটাকাটি, তার পর ঝগড়া, কনেপক্ষের অনুনয় বিনয়ের পর শেষ পর্যন্ত বিয়ের পিঁড়িতে না বসেই বাড়ি ফিরতে হল বরকে। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার সম্বলপুরে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, পাত্র একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী। বিয়ের দিন আত্মীয় স্বজন নিয়ে বড় শোভাযাত্রা করে তিনি এসেছিলেন সম্বলপুরের অইন্থাপল্লিতে পাত্রীর বাড়িতে। বিয়ের লগ্ন ছিল রাতে। তার আগে শুরু হয় খাওয়া দাওয়ার পর্ব। পাত্রীর বাড়ির মেনুতে মাছ, মুরগীর মাংস এমনকি, পাঁঠার মাংসও ছিল। কিন্তু গণ্ডগোল বাধে বরযাত্রীদের শেষ ব্যাচে পাঠার মাংস শেষ হয়ে যাওয়ায়। সাত-আট জন বরযাত্রী খেতে বসে পাঁঠার মাংস না পাওয়ায় প্রথমে মাংস জোগাড় করে আনার দাবি জানায়। তার পরে অব্যবস্থার জন্য পাত্রী পক্ষকে দোষারোপ করতে শুরু করে।
কনের পরিবার জানিয়েছে, পাঁঠার মাংস শেষ হয়ে যাওয়ায় বরযাত্রীকে মাছ এবং মুরগীর মাংস খাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু পাত্রপক্ষ তাতে রাজি হয়নি। উল্টে কনের মা-বাবাকে তাঁরা অপমান করতে শুরু করেন। পাত্রও এব্যাপারে পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি। এর পরেই কনে জানিয়ে দেন, তিনি এই বিয়ে করবেন না।
স্থানীয় এক সংবাদ সংস্থাকে পাত্রী জানিয়েছেন, ‘‘পাঁঠার মাংস না পেয়ে ওঁরা আমার বাবাকে যা নয় তাই বলছিলেন। আমার বাবা ওঁদের সামনে হাত জোড় করে ঝুঁকে পড়েছিলেন। কিন্তু তাও ওঁরা দুর্ব্যবহার করা বন্ধ করছিলেন না। বাধ্য হয়েই আমি আমার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিই।’’ তবে এই ঘটনায় কোনও পক্ষই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy