দিল্লির লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকেই তদন্তকারীদের নজরে সাদা রঙের সেই হুন্ডাই আই ২০ গাড়ির গতিবিধি! বিস্ফোরণ হওয়ার আগে গাড়িটি কোথায় কোথায় চক্কর কেটেছিল— সেই সূত্র খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। আর সেই সূত্র ধরেই উঠে এসেছে দিল্লির দুই ব্যস্ততম জায়গার নাম— কনট প্লেস এবং ময়ূর বিহার। দিল্লি আসার আগে ওই গাড়িটি হরিয়ানাতেই ছিল বলে সন্দেহ করছিলেন তদন্তকারীরা। এ বার সেই সংক্রান্ত আরও একটি তথ্য প্রকাশ্যে এল। তদন্তকারীদের এক সূত্রে দাবি, গত ২৯ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ফরিদাবাদের আল-ফালাহ্ মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসে পার্ক করা ছিল বিস্ফোরণে ব্যবহৃত সেই গাড়িটি। তার পাশেই রাখা ছিল ধৃত চিকিৎসক মুজ়াম্মিল আহমেদের গাড়িও। যদিও গাড়ির মালিক মুজ়াম্মিল হলেও রেজিস্ট্রেশন ছিল মহিলা চিকিৎসক শাহিন শহিদের নামে।
সূত্রের দাবি, লালকেল্লায় আসার আগে ওই গাড়িটিকে দেখা যায় রাজধানীর ওই দুই জনবহুল এবং ব্যস্ততম এলাকায়! আর এখান থেকেই সন্দেহ বাড়ছে, তা হলে কি বিস্ফোরণের আগে রেকি করতেই রাজধানীর জনবহুল এলাকাগুলি ঘুরেছে গাড়িটি? লালকেল্লা ছাড়াও রাজধানীর অন্য কোথাও আত্মঘাতী হামলার ছক ছিল? যদিও দিল্লি বিস্ফোরণ নেপথ্যে আত্মঘাতী হামলার সুস্পষ্ট প্রমাণ মেলেনি। তবে দিল্লি বিস্ফোরণের নেপথ্যে ‘ষড়যন্ত্রের’ তত্ত্বে সিলমোহর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তদন্তকারীদের এক সূত্রের দাবি, দিল্লির নানা জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি ফুটেজে সোমবার দুপুর আড়াইটের সময় দিল্লির কনট প্লেস এলাকায় গাড়িটিকে দেখা যায়। তার কিছু ক্ষণ পরে ময়ূর বিহার এলাকাতেও ওই একই গাড়িকে দেখা গিয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, দিল্লির আরও অনেক জায়গায় গাড়িটি গিয়েছিল বলে দাবি ওই সূত্রের।
আরও পড়ুন:
ওই সূত্রের আরও দাবি, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় দিল্লি লাগোয়া হরিয়ানার ফরিদাবাদের এশিয়ান হাসপাতালের সামনে দেখা যায় গাড়িটিকে। সকাল ৮টা ১৩ মিনিটে বদরপুর টোল বুথ পেরিয়ে দিল্লিতে ঢোকে গাড়িটি। একটি পেট্রল পাম্পে থাকা সিসি ক্যামেরায় গাড়িটিকে সকাল ৮টা ২০ মিনিটে দিল্লির ওখলা এলাকায় মোদী মিলের সামনেও দেখা যায়। সন্দেহ করা হচ্ছে, সেই গাড়িটির চালকের আসনে ছিলেন উমর নবি। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। দিল্লি বিস্ফোরণের মূল সন্দেহভাজন তিনিই। বিষয়টি নিশ্চিত করতে উমরের মায়ের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। মিলিয়ে দেখা হবে আই২০ গাড়ির মৃত চালকের ডিএনএ-র সঙ্গে। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেলেই বিষয়টি নিশ্চিত হবে।