নিজের বিয়ে আটকে দিয়ে নজির সৃষ্টি করলেন ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার এলাকার গ্রামের এক নাবালিকা।
সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া ১৪ বছরের নাবালিকাকে জোর করে বিয়ে দিতে চেয়েছিল তাঁর মা-বাবা। কিন্তু সে রাজি হয়নি বলে বাবা-মা তাকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। ওই নাবালিকা এখন বর্তমানে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ও অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে খবর। সম্প্রতি সিপাহীজলা এলাকার বাসিন্দা নাবালিকাকে জোর করে তার পরিবার বিয়ে দিতে চেয়েছিল। পাত্রটির বয়স ৩২ বছর বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
কিন্তু ওই নাবালিকা বিয়েতে অসম্মতি জানায়। পরের দিন স্কুলে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জানায় সে। স্কুল থেকে বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়। প্রশাসন ওই নাবালিকার অভিভাবকদের হুঁশিয়ারি দেয়। কিন্তু অভিভাবকেরা তাঁদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। ওই নাবালিকা ও চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া তার ছোট বোনকে বাড়ি থেকে বার করে দেন তাঁরা। ত্রিপুরা শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন জয়ন্তী দেববর্মা এই ঘটনার তদন্তে হস্তক্ষেপ করেছেন। ঘটনার খবর পেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং ওই নাবালিকার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। দুই বোন তাদের দিদিমার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখানেই নাবালিকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে।
ইতিমধ্যে নাবালিকার পরিবারের বিরুদ্ধে শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইন (পকসো)-এর আওতায় মামলা করা হয়েছে। জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সোনাই সাহা বলেছেন, নাবালিকা সুস্থ হওয়ার পরে তাকে সোনামুড়া এলাকায় একটি সরকারি বোর্ডিং স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সিপাহীজলা জেলাটি সম্প্রতি বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)