সনিয়া গান্ধী। ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে জগদীপ ধনখড় প্রথম দিনই বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আজ কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকে সনিয়া গান্ধী অভিযোগ তুললেন, হিসেব কষে বিচারবিভাগের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে সাংবিধানিক পদে আসীন এক জন ব্যক্তিকে বিচারবিভাগকে নিশানা করার জন্য মাঠে নামানো হয়েছে।
সনিয়া কারও সরাসরি নাম না করলেও রাজনৈতিক শিবির মনে করছে, তিনি আসলে উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের দিকেই আঙুল তুলেছেন। কারণ, সংসদের চলতি অধিবেশনের প্রথম দিনেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের আসনে বসে ধনখড় বলেছিলেন, বিচারপতি নিয়োগের নতুন ব্যবস্থা তৈরিতে লোকসভা ও রাজ্যসভায় ঐতিহাসিক জাতীয় বিচারবিভাগীয় কমিশন বিল পাশ হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে। সংসদের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস ও মানুষের রায়কে অস্বীকার করার এ এক জ্বলন্ত উদাহরণ। তার আগে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের সামনেও কলেজিয়াম ব্যবস্থার সমালোচনা করেছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুও সম্প্রতি নতুন করে সুপ্রিম কোর্ট, হাই কোর্টে বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থা, বিচারপতিদের হাতেই বিচারপতি নিয়োগের ক্ষমতার সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ছেন।
আজ সংসদের সেন্ট্রাল হলে ওই বৈঠকে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেত্রী বলেন, চিন্তার বিষয় হল, হিসেব কষে বিচারবিভাগের বিশ্বাসযোগ্যতাকে খাটো করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। মন্ত্রীদের সঙ্গে সাংবিধানিক উচ্চ পদে আসীন এক ব্যক্তিকে বিভিন্ন বিষয়ে বিচারবিভাগের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। স্পষ্ট যে এটা কোনও ব্যবস্থার উন্নতির পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা নয়। বরং মানুষের চোখে বিচারবিভাগের অবস্থান লঘু করার চেষ্টা।
সনিয়া আজ তাঁর বক্তৃতায় হিমাচলে কংগ্রেসের জয়ের উল্লেখ করে গুজরাত, দিল্লিতে কংগ্রেসের পরাজয়কে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেছেন। ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুল গান্ধীর ‘দৃঢ়প্রতিজ্ঞা’ ও ‘দায়বদ্ধতা’-র প্রশংসা করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy