সনিয়া গান্ধী এবং অশোক গহলৌত। ফাইল চিত্র।
অনুগামীদের বিদ্রোহের জেরে ‘কপাল পুড়তে’ পারে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের। কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গহলৌত অনুগামী কংগ্রেস বিধায়কদের আচরণে ক্ষুব্ধ দলের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। দলের ঘনিষ্ঠ নেতাদের নাকি সে ‘বার্তাও’ দিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সভাপতি পদের দৌড় থেকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ছিটকে যেতে পারেন বলেও ওই সূত্রের দাবি।
গহলৌত নিজে অবশ্য রবিবারের ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘যা হয়েছে, তা অত্যন্ত অনুচিত।’’ গত সপ্তাহেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী জানিয়ে দিয়েছিলেন, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি মেনে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে গহলৌতকে। এর পর রবিবার এআইসিসি নিযুক্ত দুই পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং অজয় মাকেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মনোনয়নের জন্য বিধায়কদের মত জানতে জয়পুরে গিয়েছিলেন। কিন্তু গহলৌত অনুগামীরা তাঁদের সঙ্গে দেখা না করে গহলৌত অনুগামী মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়ালের বাড়িতে পৃথক বৈঠক করেন।
ওই বৈঠকে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, কোনও অবস্থাতেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে রাহুল-ঘনিষ্ঠ সচিন পাইলটকে মেনে নেওয়া হবে না। স্পিকার সিপি জোশীর বাড়ি গিয়ে অন্তত ৮২ জন গহলৌত অনুগামী বিধায়ক ইস্তফা দেন বলে কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর। পাইলটকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করা হলে দল ছাড়ারও হুমকি দেন তাঁরা। রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে কথা না বলেই দিল্লি ফিরে আসেন মাকেন। জানান, পুরো ঘটনা সম্পর্কে সনিয়ার কাছে রিপোর্ট পেশ করবেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘যে বিধায়কেরা আলাদা ভাবে বৈঠক করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ ওঠা অসঙ্গত নয়।’’
দিল্লিতে মাকেনের ওই বিবৃতির পরেই গহলৌত-অনুগামী ধারিওয়াল জয়পুরে বলেন, ‘‘সচিনকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য জয়পুরে চক্রান্ত করতে এসেছিলেন মাকেন।’’ সনিয়া-নিযুক্ত পর্যবেক্ষকের সম্পর্কে ধারিওয়ালের ওই মন্তব্যের জেরে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক মঞ্চ ওয়ার্কিং কমিটির কয়েক জন সদস্য ইতিমধ্যেই সনিয়াকে আবেদন জানিয়েছেন, তাঁর উত্তরসূরি হিসাবে গহলৌতকে সুযোগ না দেওয়ার জন্য। এ ক্ষেত্রে ‘বিকল্প’ হিসাবে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ আর এক নেতা কমলনাথের নামও উঠে এসেছে। শেষ পর্যন্ত কি তাতেই সায় দেবেন সনিয়া?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy