অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস, দিল্লি। —ফাইল চিত্র।
দৈব ওষুধ, ধর্মীয় পথ নাকি রোগীর অসুখের গুরুত্ব বুঝে তাঁকে ওষুধের পাশাপাশি মানসিক ভাবে চাঙ্গা রাখার জন্য বিভিন্ন দাওয়াই, যোগব্যায়ামের মতো কোনও পদ্ধতি অনুসরণ করে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা? দিল্লির এমসে (অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস, দিল্লি) এ বার থেকে এমন চিকিৎসা হবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত হাসপাতালটির অধ্যক্ষ এম শ্রীনিবাসের একটি সিদ্ধান্তের পরে। যেখানে তিনি এমসে ‘স্পিরিচুয়াল মেডিসিন’ বা আধ্যাত্মিক ওষুধ বিভাগ খোলার প্রস্তাব দিয়েছেন! একটি অফিশিয়াল মেমো দিয়ে গত বৃহস্পতিবার পাঁচ সদস্যের একটি কমিটিও গড়েছেন। ওই বিভাগ চালু করার পথ খুঁজতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিটির সদস্যদের। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ওই কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। চিকিৎসকমহল ও বিজ্ঞানীদের বড় অংশের বক্তব্য, এই সিদ্ধান্ত চিকিৎসার নামে অপবিজ্ঞানকেই আরও প্রশ্রয় দেবে। অনেকের প্রশ্ন, এর মাধ্যমে বিশেষ ধর্মীয় প্রচার করা হবে কি না, তা নিয়েও। এ রাজ্যের জনস্বাস্থ্য চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই বলছেন, ‘‘এটা কিন্তু কোনও ভাবেই জড়িবুটি বা দৈব ওষুধ নয়। দেখতে হবে, ওরা সেই ধরনের কিছু যোগ করতে চাইছে কিনা। ওদের প্রস্তাবটা পুরোপুরি দেখিনি। কিন্তু চিকিৎসার নামে সে সব করলে মানা যাবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy