—ছবি এএফপি।
মাত্র কয়েক দিন আগেই দেশে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা এক লক্ষ পার হয়েছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও সংক্রমণে রাশ টানা গিয়েছে এমনটা বলা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক এক রিপোর্টে দাবি করেছে, দেশে সেপ্টেম্বরেই সংক্রমণ সর্বোচ্চ শিখর পার করেছে। ওই সময়ে প্রতিদিনের সংক্রমণের গড় যা ছিল, এখন তার চেয়ে অনেক কম। যদিও অর্থ মন্ত্রকের সতর্কবার্তা, ‘‘অতিমারি এখনও শেষ হয়ে যায়নি।’’
অর্থ মন্ত্রকের এই দাবি ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা এখনও সংক্রমণ শিখরে পৌঁছেছে বলে ইঙ্গিত দেয়নি, তা হলে অর্থ মন্ত্রক কিসের ভিত্তিতে এমন দাবি করল।
অর্থ মন্ত্রক প্রকাশিত সেপ্টেম্বরের ইকনমিক লুকআউট রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘১৭ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশে করোনা সংক্রমণ শিখর পার করেছে। ওই সময়ে দৈনিক সংক্রমণের চলমান গড় ৯৩ হাজার থেকে কমে হয়েছে ৮৩ হাজার। কিন্তু সেই সময় কালে প্রতিদিনের করোনা পরীক্ষা চলমান গড় ১ লক্ষ ১৫ হাজার থেকে বেড়ে ১ লক্ষ ২৪ হাজার হয়েছে।’’ যার অর্থ প্রতিদিন বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা হয়েছে, কিন্তু কম সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: যোগীর ইস্তফা চেয়ে সত্যাগ্রহ আগরতলায়
কোভিড-১৯ সংক্রমণের নিরিখে এই প্রবণতা ইতিবাচক ঠিকই, কিন্তু তা বলে দেশ সংক্রমণের শিখরে পৌঁছেছে এমন দাবি মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের যুক্তি, অনেক দেশেই দেখা গিয়েছে সংক্রমণের ব্যাপক হার কমার পরে ফের তা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। যদিও অর্থ মন্ত্রকের সতর্কবাণী, ‘‘সংক্রমণের নিম্নমুখী হার থমকে যাওয়া অর্থনীতির চাকায় গতি আনার পটভূমি তৈরি করছে। তবে করোনা সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনীয় সাবধানতা বজায় রাখতেই হবে। মেনে চলতে হবে পারস্পরিক দূরত্বের মতো করোনা-বিধিও। কারণ অতিমারি এখনও শেষ হয়ে যায়নি।’’
আরও পড়ুন: প্রিয়ঙ্কাকে হেনস্থার নিন্দা বিজেপিতেই
গত কয়েক দিনে দৈনিক সংক্রমণ যেমন কমেছে তেমনই গত দু’দিনে মৃত্যুর সংখ্যাও হাজারের নীচে। সংক্রমণের হার ৬-৭ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। নতুন আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ বেশি হওয়ায় অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও কমছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘গত দু’সপ্তাহে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১০ লক্ষের নীচে রয়েছে।’’ সুস্থতার হার ৮৪.৩৪ শতাংশে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: পঞ্জাবে রাহুলের সভাতেই কোন্দল
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক ১৫ অক্টোবর থেকে স্কুল খোলার ব্যাপারে নতুন করে নির্দেশিকা জারি করেছে। তবে প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে বলা হয়েছে, তারা যেন পারস্পরিক দূরত্ববিধি-সহ যাবতীয় বিধি মনে স্কুল চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে। আজ থেকে মুম্বইয়ে রেস্তরাঁগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy