Advertisement
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩
Delhi Crime News

‘ভাই এনে দাও’, রাখির আগে আবদার কন্যার, ফুটপাত থেকে শিশুকে তুলে নিয়ে গেলেন দম্পতি

দিল্লিতে এক দম্পতির বিরুদ্ধে ফুটপাত থেকে এক মাস বয়সি শিশুপুত্রকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের ১৭ বছর বয়সি পুত্র গত বছর মারা গিয়েছিল। সেই অভাব পূরণ করতেই এই চুরির ভাবনা।

Couple kidnaps child to get their daughter a brother ahead of Rakhi.

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৩ ১৩:১৮
Share: Save:

দাদা নেই, এ বছর রাখি বাঁধবে কার হাতে? বাবা, মায়ের কাছে তাই একটি ভাইয়ের জন্য বায়না জুড়েছিল কিশোরী। তার আবদার ফেলতে পারেননি দম্পতি। ফুটপাত থেকে শিশু চুরি করে নিয়ে গিয়েছিলেন কন্যাকে ভাই উপহার দেওয়ার জন্য। কিন্তু শেষমেশ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা গেল না। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেলেন দু’জনেই।

ঘটনাটি দিল্লির টেগোর গার্ডেনের রঘুবীর নগর এলাকার। ধৃত দম্পতির নাম সঞ্জয় গুপ্ত এবং অনিতা গুপ্ত। পেশায় তাঁরা ট্যাটু এবং মেহেন্দি আর্টিস্ট। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দম্পতির ১৭ বছর বয়সি এক পুত্র ছিল। গত বছর অগস্টে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তার। দম্পতির কন্যার বয়স ১৫ বছর। রাখিপূর্ণিমায় প্রতি বছর দাদাকেই রাখি পরাত সে। কিন্তু এ বার দাদা না থাকায় রাখির আগে বাবা, মায়ের কাছে ভাই এনে দেওয়ার আবদার করেছিল সে। সেই আবদার মেটাতেই শিশু চুরির পরিকল্পনা করেন দম্পতি।

গত বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে ৩৪ মিনিটে পুলিশের কাছে এক শিশুর অপহরণের অভিযোগ জমা পড়ে। পুলিশ জানতে পারে অপহৃত শিশুর বয়স এক মাস। তার মা প্রতিবন্ধী। বাবা এবং মায়ের সঙ্গে ফুটপাতেই থাকছিল শিশুটি। রাতে তাকে তুলে নিয়ে যান দম্পতি।

পুলিশকে শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, রাত ৩টে নাগাদ তাঁদের ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। তাঁরা দেখেন, তাঁদের সন্তান নেই। এর পর পুলিশের কাছে ছুটে যান তাঁরা। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের খোঁজ পান। তাঁদের পরিচয় পাওয়ার জন্য অন্তত ৪০০টি ফুটেজ ঘাঁটতে হয়েছে পুলিশকে। অভিযুক্ত দম্পতিকে এর পর গ্রেফতার করা হয়। অপহৃত শিশুকেও উদ্ধার করে পুলিশ। ধৃতেরা পুলিশকে জানিয়েছেন, শিশুটিকে নিজের সন্তানের মতো মানুষ করার ইচ্ছা ছিল তাঁদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE