ঘূর্ণিঝড় মন্দৌসের জেরে ভেঙে গিয়েছে বাড়ি। ছবি: পিটিআই।
তামিলনাড়ুর মমল্লপুরমের কাছে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সর্বোচ্চ ৮৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মন্দৌস। ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও, ঝড়ের প্রভাবে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর।
তবে একেবারে প্রাণহানি এড়ানো যায়নি। ঝড়ের কারণে চেন্নাইয়ের মাদিপক্কমে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে। মৃতেরা হলেন লক্ষ্মী এবং তাঁর ভাইপো রাজেন্দ্রন। অন্য দিকে, সইদাপেটে বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ে একই পরিবারের চার জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
চেঙ্গলপট্টুতে কয়েকশো গাছ উপড়ে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। অন্য দিকে, চেন্নাইয়ে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশনের কমিশনার গগনদ্বীপ সিংহ জানিয়েছেন, দুশোরও বেশি গাছ উপড়ে গিয়েছে। রাতের মধ্যেই সেই গাছগুলি কেটে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, মমল্লপুরম, কোভালামে সমুদ্র তীরবর্তী বাড়িগুলির ছাদ উড়ে গিয়েছে। দোকানগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৎস্যজীবীদের বেশ নৌকারও ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতির পরিমাণ কত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে আগে থেকে সব রকম প্রস্তুতি থাকায় বিপুল প্রাণহানির মতো ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy