হাঁসফাঁস গরমে শরীর ভিজিয়ে নেওয়া। ছবি: পিটিআই।
দুঃসহ গরম থেকে কবে মুক্তি মিলবে? এই প্রশ্নই গত তিন মাস ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু উত্তর মিলছে কই? কেরলে বর্ষা ঢুকলেও দেশের বেশির ভাগ অংশে এখনও সেই বর্ষা ধরাছোঁয়ার বাইরে। গরম থেকে যে এখনই মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই, সেই আভাস দিচ্ছে মৌসম ভবন। তার মধ্যে দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশে আবার তাপপ্রবাহের চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এই পরিস্থিতি চলছে।
দিল্লিতে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। কিন্তু ‘ফিল্স লাইক’ ৫০ ডিগ্রি। কোনও এলাকায় তাপমাত্রা যদি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তবে ‘ফিল্স লাইক’ তার চেয়ে তিন থেকে চার ডিগ্রি বেশি থাকে। অর্থাৎ, খাতায়কলমে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি হলেও ৪৩ কিংবা ৪৪ ডিগ্রির গরম অনুভূত হয় ওই স্থানে। দিল্লিবাসীদের একাংশের দাবি, রাজধানী যেন ‘ফুটন্ত জলের’ উপর বসে রয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে, এসিও এই গরমের কাছে ‘অসহায়’ হয়ে পড়ছে। মৌসম ভবন জানাচ্ছে, দিল্লিতে স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সোমবার ‘ফিল্স লাইক’ তাপমাত্রা ছুঁয়ে ফেলে ৫০ ডিগ্রি। এক দিল্লিবাসীর কথায়, “সকাল সাড়ে ৬টাতেও যেন ট্যাঙ্কের জল ফুটছে। এসি কাজ করছে না। ফ্রিজে কিছু রাখলে যেন ঠান্ডা হচ্ছে না। গত ২০ বছর ধরে দিল্লিতে রয়েছি। এ রকম ভয়ানক গরম আগে কখনও দেখিনি।”
গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই শৈলশহরগুলিতে ছুটছেন। কিন্তু সেখানে গিয়েও নিস্তার নেই। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে পর্যটকদের ঢল বাড়ছে। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁরাও প্রায় হতাশ। কোথায় ঠান্ডা! ৪৪ ডিগ্রি গরমে পুড়ছে হিমাচল প্রদেশ। আবার উত্তরাখণ্ডে তাপমাত্রা ৪৩ ছাড়িয়ে গিয়েছে। নৈনিতাল, মুসৌরি এবং পৌড়ি গঢ়ওয়ালের মতো জায়গাগুলিতে ইতিমধ্যেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বাদ নেই জম্মু-কাশ্মীরও। জম্মুতে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। কাটরায় সোমবার তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রির কাছাকাছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy