শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। কাশি হচ্ছে। সন্তানদের শারীরিক অবস্থার কথা ভেবেই এ বার দূষণ নিয়ে সরব হলেন দিল্লির মায়েরা। তাঁদের অভিযোগ, দূষণের জেরে সন্তানেরা ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ফলে তারা স্কুলে যেতে পারছে না। যার জেরে পড়াশোনারও ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। রাজধানীর দূষণ পরিস্থিতি দ্রুত যাতে স্বাভাবিক করা যায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে চিঠি লিখে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
শনিবার তাঁরা স্বাস্থ্য মন্ত্রকে চিঠি দিয়ে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। চিঠিতে তাঁরা উল্লেখ করেছেন, ‘‘আমাদের সন্তানেরা ঘুম থেকে উঠতেই কাশতে শুরু করে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে। স্কুলে যেতে পারছে না। সন্তানদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন আমরা। প্রতি শীতে একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। দূষণ পরিস্থিতি শুধরাতে দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানাচ্ছি।’’
আরও পড়ুন:
দিল্লিতে গত মাস থেকেই দূষণের ছবিটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। সেই পরিস্থিতি আরও বিগড়েছে দীপাবলির পর থেকে। রাজধানীর বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) কিছুতেই ‘খারাপ’ এবং খুব খারাপ’ পর্যায় থেকে ভাল বা সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছোচ্ছে না। রবিবার তো একিউআই ‘ভয়ানক’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ড (সিপিসিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, রবিবার রাজধানীর একিউআই ৪২১-এ পৌঁছেছে। যা ‘ভয়ানক’ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। দূষণের জেরে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, চোখজ্বালার মতো উপসর্গও ধরা পড়ছে। ওয়াজিরপুরে একিউআই ৪৩২, চাঁদনি চওকে ৪১৪, আনন্দ বিহারে একিউআই ৩৯২। (সিপিসিবি-র তথ্য অনুযায়ী, একিউআই যদি ০-৫০ থাকে, তা হলে সেটি ভাল। ৫১-১০০ হলে সন্তোষজনক। ১০১-২০০ হলে মাঝারি। ২০১-৩০০ হলে খারাপ। ৩০১-৪০০ হলে অত্যন্ত খারাপ। ৪০১-৫০০ হলে ভয়ানক।)
এয়ার কোয়ালিটি আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম (একিউইডব্লিউএস) বলছে, হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের কম থাকলে দূষণকারী বস্তু ছড়িয়ে পড়তে পারে না। সে ক্ষেত্রে দূষণের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। একিউইডব্লিউএস বলছে, ৪ নভেম্বর, আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত দিল্লিতে বাতাসের গুণমান ‘অত্যন্ত খারাপ’ থাকতে পারে।