২২ বছরের প্রেমিকা নিক্কিকে খুনের অভিযোগ সাহিলের বিরুদ্ধে। ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লিতে নিক্কি যাদব হত্যাকাণ্ডে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে পুলিশের হাতে। ২২ বছরের তরুণীকে খুন করে ফ্রিজে দেহ লুকিয়ে রেখেছিলেন প্রেমিক সাহিল। তার পর সেই দিনই অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেন। সাহিলকে দিল্লির কৈর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানতে পেরেছে, ৫ বছর আগে নিক্কির সঙ্গে সাহিলের পরিচয় হয়েছিল। কোচিং সেন্টারের সূত্রে আলাপ, ক্রমে বন্ধুত্ব হয় দু’জনের। সেই বন্ধুত্ব প্রেমের সম্পর্কে বদলে যেতেও বেশি সময় লাগেনি।
দিল্লির উত্তম নগর এলাকায় এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কোচিং সেন্টারে পড়তে যেতেন সাহিল। ওই একই এলাকায় মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে কোচিংয়ে যেতেন নিক্কি। সেখান থেকেই তাঁদের আলাপ। দু’জন একসঙ্গেই বাসে করে উত্তম নগরে যেতেন। দেখা করতেন কোচিংয়ের আগে এবং পরে।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেটার নয়ডার একটি কলেজে একসঙ্গে ভর্তি হন সাহিল, নিক্কি। বিষয় আলাদা হলেও প্রেম করছিলেন চুটিয়ে। এই সময়ে তাঁরা একত্রবাস শুরু করেছিলেন। একটি বাড়িও ভাড়া নিয়েছিলেন।
নিক্কি এবং সাহিল একসঙ্গে অনেক জায়গায় ঘুরতে যেতেন। কখনও মানালি, কখনও হৃষীকেশ, কখনও হরিদ্বার কিংবা দেহরাদূন, বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে তাঁরা সময় কাটিয়েছেন। সম্প্রতি একসঙ্গে গোয়া যাওয়ার পরিকল্পনাও করেছিলেন। কিন্তু সাহিলের বিয়ের খবর জানতে পেরে গোয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে দেন নিক্কি।
অভিযোগ, ৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যবর্তী রাতে নিক্কিকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন সাহিল। তাঁর ধাবার ফ্রিজে রেখে দেন দেহ। তার পর ওই দিনই বসেন বিয়ের পিঁড়িতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy