Advertisement
E-Paper

পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে এবং পরে ট্রাম্পের মুখে এল ভারতের প্রসঙ্গ, আরও শুল্ক চাপানো হবে নয়াদিল্লির উপর?

রাশিয়ার কাছ থেকে খনিজ তেল কেনার জন্য ভারতের পণ্যের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেছে আমেরিকা। আগামী ২৭ অগস্টের মধ্যে বাণিজ্য সমঝোতা না-হলে ওই শুল্কহার কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু রাশিয়া থেকে আরও অনেক দেশই তেল কেনে, যার মধ্যে অন্যতম চিন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২৫ ১২:১১
(বাঁ দিক থেকে) ভ্লাদিমির পুতিন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নরেন্দ্র মোদী।

(বাঁ দিক থেকে) ভ্লাদিমির পুতিন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নরেন্দ্র মোদী। ছবি: এএফপি।

ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা নিয়ে সুর কি একটু নরম করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? আমেরিকার আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পরে এমনই ইঙ্গিত মিলল। রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের উপর কি আরও শুল্ক চাপানো হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে ‘ফক্স নিউজ়’-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আজ যা হল, আশা করি এর পর আর ওটা (শুল্ক) নিয়ে ভাবতে হবে না। তবে দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে হয়তো ওটা নিয়ে আমাকে আবার ভাবতে হবে। এখন কিছু নয়। আমার মনে হয়, বৈঠক খুব ভাল হয়েছে।’’ একই সঙ্গে ট্রাম্প জানান, তিনি বিষয়টি (অতিরিক্ত শুল্ক) নিয়ে এখনই ভাবতে চান না। দু’-তিন সপ্তাহের মধ্যে তিনি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। সরাসরি ভারতের নাম না-করলেও ট্রাম্পের কথায় স্পষ্ট যে, রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য এখনই বিভিন্ন দেশের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করছে না আমেরিকা।

পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগেও ট্রাম্পের কথায় ভারতের প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। ‘ফক্স নিউজ়’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাশিয়া সম্পর্কে ট্রাম্প বলেছিলেন, “ওরা (রাশিয়া) একটি তেলের ক্রেতা হারাতে চলেছে। সেই ক্রেতা হল ভারত। ওরা ৪০ শতাংশ তেল কেনে। আপনারা জানেন, চিনও প্রচুর কেনে (তেল)। আমি যদি অতিরিক্ত শুল্ক চাপাই...সে আমি চাপাতেই পারি। কিন্তু আমি এমনটা করতে চাই না।” প্রসঙ্গত, রাশিয়ার কাছ থেকে খনিজ তেল কেনার জন্য ভারতের পণ্যের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেছে আমেরিকা। আগামী ২৭ অগস্টের মধ্যে বাণিজ্য সমঝোতা না-হলে ওই শুল্কহার কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু রাশিয়া থেকে আরও অনেক দেশই তেল কেনে, যার মধ্যে অন্যতম চিন।

শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন ট্রাম্প। বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। তবে দুই রাষ্ট্রনেতারই দাবি, বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে। এর পর আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ়’-কে ট্রাম্প জানান, বাকিটা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির উপর নির্ভর করছে। তাঁকেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে। পুতিনের সঙ্গে এর পর বৈঠক হবে জ়েলেনস্কির। তাঁরা চাইলে সেই বৈঠকে ট্রাম্পও থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন।

Donald Trump Vladimir Putin US Tariff Donald Trump Tariff War
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy