‘রিলায়্যান্স অনিল ধীরুভাই অম্বানী গ্রুপ’-এর প্রধান অনিল অম্বানীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অশোককুমার পালকে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অনিলের মালিকানাধী রিলায়্যান্স পাওয়ারের এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর এবং চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার অশোককে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয় বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।
অম্বানী গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে এসবিআই-সহ দেশের একাধিক ব্যাঙ্ক। কয়েক মাস আগে এই ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন অনিল। দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মামলায় পৃথক তদন্ত চালাচ্ছে আর এক কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই-ও।
এর পরেই এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। পরে আর্থিক তছরুপের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত নামে ইডি। সেই তদন্তের সময় অনিল অম্বানীর সঙ্গে সম্পর্কিত একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল ইডি। রিয়াল্যান্স পাওয়ারের অফিসেও হানা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। অনিল অম্বানীকেও একাধিক বার ইডি-র জেরার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এ বার সেই মামলায় গ্রেফতার হলেন অনিলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবে পরিচিত অশোককুমার পাল।
আরও পড়ুন:
ইডি সূত্রে খবর, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্কের দেওয়া প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার অবৈধ ঋণ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ছিল অম্বানীর একাধিক সংস্থা। বর্তমান মামলাটি সেই অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। অনিলের একাধিক সংস্থার মধ্যে ওই ঋণ বণ্টন করা হয়েছিল। তার আগে ব্যাঙ্কটির প্রোমোটারদের নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন সংস্থার কাছে টাকা পৌঁছোয়। ঋণ মঞ্জুরের ক্ষেত্রে বহু নিয়ম লঙ্ঘনও করেছিল বেসরকারি ব্যাঙ্কটি। ফলে সেই ঋণের ক্ষেত্রে ঘুষ জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। এর আগে গত ২৪ জুলাই অনিলের সংস্থার একাধিক ঠিকানায় হানা দিয়েছিল ইডি। এ বার বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন (প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট) মেনে গ্রেফতার করা হল অনিল-ঘনিষ্ঠ অশোককে।