বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জঙ্গি সংগঠনে টাকা পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল। ওই মামলার তদন্তে এ বার প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
ভারতে নিষিদ্ধ দুই জঙ্গিগোষ্ঠী ‘স্টুডেন্ট্স ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ (সিমি) এবং ‘ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন’ (আইএম)-কে আর্থিক সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছিল ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে। প্রাথমিক ভাবে ধীরজ সাউ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে ছত্তীসগঢ় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ‘পাকিস্তানের খালিদ’ নামে এক ব্যক্তির নির্দেশে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মারফত টাকা সংগ্রহ করতেন ধীরজ এবং অন্য অভিযুক্তেরা। পরে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ের তদন্তে নামে ইডি।
ইডির তদন্তে উঠে আসে, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যে টাকা জমা পড়ত, তা পাঠানো হত জ়ুবের হোসেন, আয়েশা বানু এবং রাজু খানের কাছে। তাঁরা প্রত্যেকেই ‘সিমি’ কিংবা ‘আইএম’ জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। এ বার ওই মামলায় ৬ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করলেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। ইডি জানিয়েছে, বাজেয়াপ্ত হওয়া স্থাবর সম্পত্তির মালিক রাজু। ইডি সূত্রে খবর, ‘পাকিস্তানের খালিদ’-এর নির্দেশেই বিভিন্ন বেনামি সূত্র থেকে ধীরজ ওই টাকাগুলি সংগ্রহ করতেন। এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতেন ধীরজ এবং তাঁর সঙ্গীরা। তার পরে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ঘুরে ওই টাকা পৌঁছে যেত রাজু, জ়ুবের, আয়েশাদের কাছে।
আরও পড়ুন:
তদন্তকারীদের সন্দেহ, জঙ্গিগোষ্ঠীকে আর্থিক মদত দেওয়ার এই চক্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল রাজুর। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই টাকা তুলে নিতেন রাজু। তার পরে ওই ‘খালিদ’-এর নির্দেশ মতো টাকা পরবর্তী স্তরের ব্যক্তির কাছে পাঠিয়ে দিতেন।