Advertisement
E-Paper

৩০০ কোটির আর্থিক প্রতারণা: দিল্লি, মুম্বই-সহ দেশের ১৭ জায়গায় ইডির তল্লাশি, ১১০ কোটি টাকা উদ্ধার

মুম্বইয়ে সাইবার থানায় সাইপ্রাসের একটি অবৈধ অনলাইন বেটিং সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। সেই মামলারই তদন্তে নেমে প্রতারণার হদিস পায় পুলিশ।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৫ ১৩:০২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

৩০০ কোটির আর্থিক প্রতারণা মামলায় দেশের ১৭ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দিল্লি, মুম্বই, নয়ডা, জয়পুর, সুরত, মাদুরাই, কানপুর এবং হায়দরাবাদ-সহ আরও বেশ কয়েকটি শহরে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, একটি অনলাইন বেটিং সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হচ্ছিল। তখনই এই বিপুল পরিমাণ আর্থিক প্রতারণার বিষয়টি নজরে আসে তদন্তকারীদের।

ইডি সূত্রে খবর, ওই সংস্থার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে জড়িত, এমন বেশ কয়েকটি ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। সেই অভিযানে এখনও পর্যন্ত ১১০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও লেনদেন সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিও উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মুম্বইয়ে সাইবার থানায় সাইপ্রাসের একটি অবৈধ অনলাইন বেটিং সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। সেই মামলারই তদন্তে নেমে প্রতারণার হদিস পায় পুলিশ। এক বছরে বিনিয়োগকারীদের ৩০০ কোটি টাকা প্রতারণা করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর।

তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, লেনদেনের জন্য বিভিন্ন কৌশলে এবং ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হত। দেশ জুড়ে এই প্রতারণার জাল ছড়ানো হয়েছে। কোনও গ্রাহক টাকা বিনিয়োগ করলেই সেই টাকা ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলিতে পাঠিয়ে তা তুলে নেওয়া হত। তার পর হাওয়ালার মাধ্যমে ব্রিটেনের এক সংস্থার কাছে পৌঁছে যেত সেই টাকা। তার পর সেই টাকা ক্রিপ্টো কারেন্সি কিনতে কাজে লাগানো হত। আর পুরো কাজটাই পরিচালনা করতেন সাইপ্রাসের বেটিং সংস্থার এজেন্টরা। তল্লাশি অভিযানে একই জায়গা থেকে ১২০০ ক্রেডিট কার্ড উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। লেনদেনে এই ক্রেডিট কার্ডগুলিই ব্যবহার করা হত বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।

Money Laundering
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy