ডিজিটাল প্রমাণ লোপাটের জন্যই মোবাইল বদলেছেন সিসৌদিয়ারা, দাবি ইডির। — ফাইল ছবি।
দিল্লির নতুন আবগারি নীতি যাতে স্বার্থপূরণ করে, সে জন্য আপ সরকারকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। তদন্তে নেমে জানাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এও জানাল, প্রমাণ লোপাটের জন্য অভিযুক্তেরা শতাধিক বার মোবাইল বদলেছেন। এই আবগারি নীতি-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত হলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। ইতিমধ্যে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি।
বৃহস্পতিবার এই আবগারি নীতি-কাণ্ডে বেসরকারি সংস্থার দু’জন কর্তাকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তাঁদের জেরা করে একাধিক তথ্য পেয়েছে বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। তারা জানিয়েছে, সিসৌদিয়া-সহ অভিযুক্তেরা অন্তত ১৪০ বার মোবাইল বদলেছেন। ডিজিটাল প্রমাণ লোপাটের জন্যই এ সব করেছেন। যদিও সিসৌদিয়া সমস্ত অভিযোগ আগেই অস্বীকার করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও কিছুই পায়নি সিবিআই। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের অভিযোগ, গুজরাত ভোটের আগে আপকে থামাতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে বিজেপি।
বৃহস্পতিবার সুরা প্রস্তুতকারী সংস্থা পারনড রিচার্ডের জেনারেল ম্যানেজার বিনয় বাবু এবং অরবিন্দ ফার্মার কর্তা পি শরৎচন্দ্র রেড্ডিকে গ্রেফতার করেছে ইডি। দিল্লির বিশেষ আদালত তাঁদের সাত দিনের ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে। ইডির দাবি, দিল্লিতে মদ বিক্রির ৩০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করেন রেড্ডি।
আদালতে ইডি আরও জানিয়েছে, দিল্লি সরকারকে ঘুষ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মদ বিক্রয়কারী সংস্থার থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল, নতুন আবগারি নীতিতে যাতে লাভবান হন মদ প্রস্তুত এবং বিক্রয়কারী সংস্থা। ধৃতদের এক জনের থেকে আবগারি নীতির খসড়াও উদ্ধার করেছে ইডি। তাদের অভিযোগ, নীতি প্রকাশের অনেক দিন আগেই বেশ কিছু সুরাপ্রস্তুতকারী সংস্থার হাতে চলে এসেছিল সেই খসড়া।
‘দিল্লি আবগারি নীতি ২০২১-২২’ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন উপরাজ্যপাল। সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন তিনি। এর পরেই তদন্তে নামে সিবিআই। সিসৌদিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁকে জেরা করে। বিনোদন সংস্থার কর্তা বিজয় নায়ের এবং সুরা ব্যবসায়ী অভিষেক বইনপল্লিকে গ্রেফতার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy