রবিবার দুপুর পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলই বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে কোনও অভিযোগ কমিশনকে জানায়নি। এমনটাই জানাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। যদিও এই সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকায় নাম সংযোজন বা বাদ দেওয়া সংক্রান্ত ৯৪১টি অভিযোগ পেয়েছে কমিশন। তবে কমিশনের দাবি, সেগুলি সবই ব্যক্তিগত স্তরে জমা পড়েছে। কোনও রাজনৈতিক দল থেকে অভিযোগ তারা পায়নি।
গত শুক্রবার (১ অগস্ট) বিহারের খসড়়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই তালিকায় নাম সংযোজন এবং বাদ দেওয়া সংক্রান্ত আবেদনের জন্য এক মাস সময় দিয়েছে কমিশন। আগামী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলি এ বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য কমিশনকে জানাতে পারবে। তবে কমিশন জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুর ৩টে থেকে রবিবার দুপুর ৩টের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলি থেকে কোনও দাবি এবং আপত্তি জমা পড়েনি।
এই খসড়া তালিকা প্রকাশের আগে বিহারে ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’ (স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর) চালিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর ফলে সংশোধিত খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ৬৫ লক্ষের বেশি নাম। কমিশন ইতিমধ্যে জানিয়েছে, মৃত, স্থায়ী ভাবে অন্যত্র চলে যাওয়া ব্যক্তিদের এবং একাধিক ঠিকানার ভোটার তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের নাম খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিহারে ভোটার তালিকায় প্রায় ৭ কোটি ৯০ লক্ষ নাম ছিল। এসআইআর পর্বের পরে খসড়া তালিকায় তা কমে ৭ কোটি ২৪ লক্ষে নেমে এসেছে বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
বিহারের সংশোধিত ভোটার তালিকার খসড়া সে রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলের হাতে তুলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে খসড়া তালিকা প্রকাশের দু’দিন পরেও রাজনৈতিক দলগুলির তরফে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলেই দাবি তাদের। যদিও সম্প্রতি সংসদের অধিবেশন চলাকালীন বিহারে এসআইআর প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে।