Advertisement
E-Paper

‘মাসের পর মাস মানসিক নির্যাতন, অভিযোগে কান দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়!’ দাবি কলিঙ্গে আত্মঘাতী ছাত্রীর বাবার

ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। সুনীলের দাবি, তাঁর মেয়ের মৃত্যুর নেপথ্যে ওই যুবক রয়েছেন। তিনিই মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:০১
সংবাদমাধ্যমের সামনে চোখের জল মুছছেন মৃত ছাত্রীর বাবা।

সংবাদমাধ্যমের সামনে চোখের জল মুছছেন মৃত ছাত্রীর বাবা। ছবি: সংগৃহীত।

ভুবনেশ্বের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি (কেআইআইটি)-র হস্টেলের ঘর থেকে রবিবার উদ্ধার হয়েছে এক নেপালি ছাত্রীর দেহ। সেই ঘটনা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে নানা মহলে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পড়ুয়ারা। সেই আবহেই এ বার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন মৃত ছাত্রীর বাবা।

ওই ছাত্রীর বাবা সুনীল লামসান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত বেশ কয়েক মাস ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তাঁর মেয়ে। তাঁকে বার বার ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল। নানা ভাবে মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল তাঁর উপর। অভিযোগ, একাধিক বার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দরজায় কড়া নাড়লেও সাড়া মেলেনি। এর পরেই বাধ্য হয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তাঁর মেয়ে। সুনীলের কথায়, ‘‘কালও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। তাঁরা বিশেষ কিছুই জানাননি। তবে পুলিশ-প্রশাসন আমাদের সব রকম সহযোগিতা করছে। তদন্তের স্বার্থে মেয়ের ফোন, ডায়েরি এবং ল্যাপটপটি নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা।’’ ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। সুনীলের দাবি, তাঁর মেয়ের মৃত্যুর নেপথ্যে ওই যুবকই রয়েছেন। তিনিই মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন।

রবিবার কলিঙ্গের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে তৃতীয় বর্ষের নেপালি ছাত্রীর দেহ মেলে। এর পরেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নেপালি ছাত্রছাত্রীরা। পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া অদ্বিক শ্রীবাস্তবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মৃতার। ওই যুবক তাঁকে হেনস্থা করতেন। প্রেমিকের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণেই সম্ভবত আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবে বিক্ষোভকারী নেপালি ছাত্রছাত্রীদের আরও দাবি, আচমকাই তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে চলে যেতে বলেছেন কর্তৃপক্ষ। ওই ছাত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টিও ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের সন্দেহ, এই দুইয়ের মধ্যে ‘যোগ’ থাকতে পারে। এই মৃত্যু নিয়ে স্বচ্ছ তদন্তের দাবি তুলেছেন তাঁরা। কর্তৃপক্ষকে ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অন্য দিকে, অদ্বিককে আটক করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

nepali girl Nepalese Odisha Student Death Suicide
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy