উত্তরপ্রদেশের বহরাইচে ‘মানুষখেকো’ নেকড়ের আতঙ্ক থেকে আপাত স্বস্তি পেলেন স্থানীয়েরা। দেড় মাস ধরে নেকড়ের আতঙ্কে বাড়ি থেকে বার হওয়া প্রায় বন্ধ হতে বসেছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার নেকড়ের খোঁজ মিলতেই সেটিকে ধরার চেষ্টা করে বন দফতর। কিন্তু ফের পালানোর চেষ্টা করতেই গুলি করা হয় নেকড়েটিকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত দেড় মাস ধরে বহরাইচের মঞ্ঝারা তৌকলী এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছিল নেকড়েটি। সেটির হামলায় চার শিশুর মৃত্য়ু হয়েছে। মৃত্যু হয় এক দম্পতিরও। আহতের সংখ্যাও দশ জনের বেশি। একের পর এক মৃত্যু এবং হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মঞ্ঝারা তৌকলীর বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, ওই এলাকার ভিরগু পুরবা গ্রামে হামলা চালাচ্ছিল নেকড়েটি। বন দফতর নেকড়েটিকে ধরার জন্য নানা রকম চেষ্টা করে। কিন্তু কোনও ভাবে প্রাণীটির নাগাল পাচ্ছিল না তারা। ফলে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক আরও চেপে বসেছিল।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, নেকড়েটিকে ধরার জন্য বেশ কয়েকটি দল গঠন করা হয়েছিল। রাতপাহারার ব্যবস্থা করা হয়। ড্রোন উড়িয়েও চলছিল তল্লাশি। দেড় মাস ধরে লাগাতার চেষ্টার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার বন দফতর খবর পায়, মঞ্ঝারা তৌকলী এলাকায় আবার দেখা গিয়েছে নেকড়েটিকে। সেই খবর পাওয়ামাত্রই নেকড়েটিকে ধরার জন্য বন দফতরের কর্মীরা যান। নেকড়েটিকে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু পারেননি। নেকড়ে পালানোর চেষ্টা করলেই গুলি করা হয়। মৃত্যু হয় প্রাণীটির।