ছাত্রীকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত স্কুলেরই এক পিওন এবং তাঁর তিন সহযোগী। ছবি: প্রতীকী
পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্ত স্কুলেরই এক পিওন এবং তাঁর তিন সহযোগী। দিল্লির পুরসভা চালিত একটি স্কুলে এই ঘটনা হয়েছে। পিওনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি তিন জনের খোঁজ চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম অজয়। উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের বাসিন্দা। থাকেন গাজিয়াবাদে। গত ১০ বছর ধরে দিল্লির ওই পুরস্কুলে কাজ করেন তিনি। এই ঘটনায় দিল্লি পুরসভা এবং পুলিশকে নোটিস পাঠিয়েছে দিল্লি মহিলা কমিশন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ মার্চ নিগ্রহের শিকার হয়েছে ওই মেয়েটি। তার পর সে আর স্কুল যায়নি। এমনকি বার্ষিক পরীক্ষাও দেয়নি। দিল্লি পুরসভা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সঠিক সময়ে পদক্ষেপ না করার জন্য ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা এবং ক্লাসটিচারকে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে।
বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল মেয়েটি। তার পরেই তার দাদাকে ফোন করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার দাদা সমস্ত কথা জানায় শিক্ষকদের। পুলিশের কাছে অভিযোগে বলা হয়েছে, স্কুল থেকে অপরিচিত একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মেয়েটিকে। সেখানে কিছু খাইয়ে অচেতন করা হয়েছিল তাকে। তার পর গণধর্ষণ করা হয়। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (পূর্ব) অম্রুতা গঙ্গলোথ জানিয়েছেন, গত বুধবার স্কুলের শিক্ষিকারা এসে অভিযোগ জানিয়েছেন। নির্যাতিতাকে লালবাহাদুর শাস্ত্রী হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার কাউন্সেলিংও চলছে।
দিল্লির পুরসভা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘‘১৪ মার্চ যৌন হেনস্থার শিকার হয় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। পরের দিন তাঁর বার্ষিক পরীক্ষা ছিল। সেখানে অনুপস্থিত ছিল ছাত্রীটি। শিক্ষিকারা তাঁর মাকে ফোন করলে তিনি প্রথম বলেন, মেয়ের পেটে ব্যথা। পেট খারাপ হয়েছে। পরে তিনি জানান, স্কুলের পিওন ও তাঁর সহযোগীদের কাছে ধর্ষিত হয়েছে সে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, স্কুল কর্তৃপক্ষ বলার পরেও থানায় অভিযোগ জানাতে রাজি হয়নি পরিবার। তার পরেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক থানায় অভিযোগ করেন। পিওনকে বরখাস্ত করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে টুইট করেছেন দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy