সেপ্টেম্বরে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় তিন হাজার কিলোগ্রাম মাদক। এ বার উদ্ধার হল তেজস্ক্রিয় পদার্থ।
সেপ্টেম্বরে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় তিন হাজার কিলোগ্রাম মাদক। এ বার উদ্ধার হল তেজস্ক্রিয় পদার্থ। বৃহস্পতিবার শিল্পপতি গৌতম আদানির আদানি গোষ্ঠী পরিচালিত গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দরে একটি বিদেশি পণ্যবাহী জাহাজ আটক করে শুল্ক দফতর এবং ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টালিজেন্স (ডিআরআই)-এর যৌথ দল। তাদের সন্দেহ হয়েছিল জাহাজে অঘোষিত বিপজ্জনক পদার্থ রয়েছে। জাহাজের অনেকগুলি কন্টেনার থেকে মিলেছে তেজস্ক্রিয় পদার্থ। তেজস্ক্রিয় পদার্থ নিয়ে জাহাজটি আসছিল পাকিস্তানের করাচি থেকে। গন্তব্য ছিল চিনের সাংহাই।
শুক্রবার এই বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে আদানি স্পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকনমিক জ়োন (এপিএসইজ়েড)। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবিপজ্জনক পদার্থ থাকার তালিকাতেই ছিল ওই পণ্যবাহী জাহাজটি। কিন্তু কন্টেনারগুলিতে ‘হ্যাজ়ার্ড ক্লাস সেভেন’ লেখা ছিল। যার অর্থ কন্টেনারগুলিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ রয়েছে।’’
সেপ্টেম্বরে এই মুন্দ্রা বন্দরেই তিন হাজার কিলোগ্রাম মাদক আটক করার পরে পরে মাদক যোগে গ্রেফতার করা হয় শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে। তা নিয়ে তৈরি হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিরোধীরা অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ গৌতম আদানির আদানি গোষ্ঠী পরিচালিত মুন্দ্রা বন্দরে এত বিশাল পরিমাণ মাদক আটকের ঘটনা থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই গ্রেফতার করা হয়েছে আরিয়ানকে। সেই মুন্দ্রা বন্দরেই এ বার আটক করা হল তেজস্ক্রিয় পদার্থ।
গত কাল এপিএসইজ়েড জানিয়েছে, জাহাজটি মুন্দ্রা বা ভারতের অন্য কোনও বন্দরে আসছিল না। পাকিস্তানের করাচি থেকে জাহাজটি যাচ্ছিল চিনের সাংহাই। মুন্দ্রা বন্দরে জাহাজটি ধরা পড়ে যায়। পরবর্তী তদন্তের জন্য মুন্দ্রা বন্দরেই জাহাজটিকে খালি করে দেওয়া হয়েছে।
এই কাজের জন্য এপিএসইজ়েড-এর তরফে শুল্ক দফতর এবং ডিআরআই কর্মীদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘‘যে তৎপরতা তাঁরা দেখিয়েছেন, তার জন্য তাঁদের কুর্নিশ। দেশকে সুরক্ষিত রাখতে সব রকম পদক্ষেপে সহযোগিতা করা হবে। জাতীয় নিরাপত্তাকে আদানি গোষ্ঠী খুবই গুরুত্ব দেয় এবং তার সঙ্গে তারা কখনও আপস করবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy