রাতভর বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দেশের বাণিজ্যনগরী! সোমবারও মুম্বইয়ের বিস্তীর্ণ অংশে কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। সেখানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মুম্বইয়ের পাশাপাশি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে গোটা মহারাষ্ট্র জুড়েই। রায়গড় এবং পালঘর জেলাতেও জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা।
ভারী বৃষ্টির সঙ্গে রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। বজ্রপাতের কারণে মুম্বই, সিন্ধুদুর্গ, ধুলে, নাসিক, সম্ভাজিনগর, নন্দুরবার এবং অমরাবতীতে এখনও পর্যন্ত মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১০ জন। দক্ষিণ মুম্বই এবং পশ্চিম শহরতলিতে রাত ২টো থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত একটানা বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার ভোর পর্যন্ত একটানা ভারী বৃষ্টির ফলে মুম্বইয়ের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ফোর্ট এলাকায় সর্বোচ্চ ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়াও বান্দ্রায় ৬২ মিলিমিটার, মালাবার হিলে ৬০ মিলিমিটার, হাজি আলিতে ৫৭ মিলিমিটার, গ্রান্ট রোড এবং সান্তাক্রুজ়ে ৪৭ মিলিমিটার, দাদরে ৪১ মিলিমিটার এবং অন্ধেরিতে ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন:
চলতি বছরে নির্ধারিত সময়ের ১৬ দিন আগেই বর্ষা ঢুকেছে মহারাষ্ট্রে। আবহাওয়া দফতরের হিসাব অনুযায়ী, মুম্বইয়ে বর্ষা ঢোকার তারিখ ১১ জুন। অথচ চলতি বছরে ২৬ মে বর্ষা ঢুকেছে সেখানে। ১৯৫০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, গত ৩৫ বছরে এই প্রথম বার এত দিন আগে বর্ষার আগমন ঘটেছে শহরে! ফলে সেই থেকে একটানা বৃষ্টিতে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা দেশের বাণিজ্যনগরীর। একটানা ভারী বৃষ্টির জেরে বার বারই শহরে ব্যাহত হচ্ছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। কোথাও কোথাও রেললাইনে জল জমে যাচ্ছে। অন্য দিকে, শহরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় যান চলাচলেও বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শহরবাসীকে।