আবার এক জঙ্গির বাড়ি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হল জম্মু ও কাশ্মীরে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার রাতে কুপওয়ারাতে ফারুক আহমেদ নামে এক জঙ্গির বাড়ি বোমা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয় নিরাপত্তাবাহিনী। যদিও ভারতে ‘নিষিদ্ধ’ জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-এ-ত্যায়বার সদস্য ফারুক এখন পাকিস্তানে।
পহেলগাঁও হামলার পর কাশ্মীর জুড়ে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। গত ৪৮ ঘণ্টায় অন্তত ছয় জঙ্গির বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অনন্তনাগ, পুলওয়ামা, সোপিয়ান, কুলগাম— নানা জায়গায় জঙ্গিদের বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করেছে নিরাপত্তাবাহিনী।
পহেলগাঁওয়ে হামলাকারী দুই জঙ্গি আদিল হুসেন ঠোকর এবং আসিফ শেখের বাড়ি শুক্রবার ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। গভীর রাতে আদিলের বাড়িটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, আসিফের বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয় বুলডোজ়ার দিয়ে। তার পর শনিবার কুলগামে ভাঙা হয় অন্যতম সন্দেহভাজন জ়াকির আহমেদ গনির বাড়ি। পুলওয়ামায় আহসান আল হক শেখ নামের আরও এক সন্দেহভাজন জঙ্গির বাড়ি ভাঙা হয়েছে।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় এবং এক জন নেপালি নাগরিক। ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ আছে বলে অভিযোগ ভারতের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপও করা হয়েছে ইতিমধ্যে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পড়শি দেশ। হামলার দায় স্বীকার করেছে দ্য রেজ়িসট্যান্স ফোর্স (টিআরএফ), যারা পাক জঙ্গি সংগঠন লশকর-এ-ত্যায়বার শাখা সংগঠন। যদিও পরে তারা বিবৃতি বদল করে। তারা জানায়, পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই।
আরও পড়ুন:
তবে পহেলগাঁও কাণ্ডের পর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, জঙ্গিদের খুঁজে বার করে ‘কল্পনাতীত শাস্তি’ দেবে ভারত। তার পর থেকে জঙ্গিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চলছে অনন্তনাগ, কুলগাম-সহ উপত্যকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। ভেঙে ফেলা হচ্ছে একাধিক জঙ্গির বাড়ি।