জল্পনা ছিল বিহারের বিধানসভা ভোটে বৈশালী জেলার রাঘোপুর কেন্দ্রে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের পুত্র তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে প্রার্থী হবেন তিনি। কিন্তু প্রাক্তন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে নামেই যিনি পরিচিত) দল জন সুরাজ পার্টি (জেএসপি) মঙ্গলবার সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিল।
জেএসপির সর্বভারতীয় সভাপতি উদয় সিংহ মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমে রাঘোপুরের প্রার্থী হিসেবে দলের নেতা চঞ্চল সিংহের নাম ঘোষণা করেছেন। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা ভোটে পিকে আদৌ প্রার্থী হবেন কি না, তা নিয়েই জল্পনা তৈরি হয়েছে। গত শনিবার রাঘোপুর থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিহারের বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু করেন পিকে। জল্পনা ছিল, ওই সভা থেকেই রাঘোপুরে জন সুরাজ পার্টির প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করবেন তিনি। কিন্তু তা না হওয়ায় জল্পনা দানা বেঁধেছিল। মঙ্গলবার তা আরও জোরালো হল।
যদিও ‘বিকল্প’ হিসাবে ইতিমধ্যেই আলোচনায় এসেছে মধুবনী জেলার ফুলপাড়া বিধানসভা আসনের নাম। ১৯৭৭ সালে এই আসন থেকেই জনতা পার্টির প্রার্থী হিসেবে জিতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন অনগ্রসর নেতা কর্পুরী ঠাকুর। প্রসঙ্গত, বিহারের বিধানসভা ভোটে ২৪৩ আসনের সবক’টিতেই প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন পিকে। গত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) প্রথম দফায় ৫১টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলে সর্বভারতীয় সভাপতি উদয়। সোমবার (১৩ অক্টোবর) দ্বিতীয় দফায় আরও ৬৬ প্রার্থীর নাম। কিন্তু কোনও তালিকাতেই পিকের নাম নেই। তিনি ভোটে লড়বেন কি না, সে বিষয়ে সরাসরি কিছু জানাননি উদয়।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন গত ৬ অক্টোবর নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে জানিয়েছে, এ বার বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনে দু’দফায় ভোট হবে। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ৬ নভেম্বর। ওই দফায় ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। ১০-১৭ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমার পর তা পরীক্ষা হবে ১৮ অক্টোবর। প্রথম দফার ভোটের প্রার্থীরা নাম প্রত্যাহার করতে পারবেন ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় মোট ১২২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ওই দফার গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে ১৩ অক্টোবর। ২০ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা করা যাবে। ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রার্থীরা চাইলে নাম তুলে নিতে পারবেন। ভোটগণনা হবে ১৪ নভেম্বর।