সূচক অনুযায়ী, ভারতে ১৫ বছরে সাংবাদিক হত্যার ২০টি মামলার কিনারা হয়নি। প্রতীকী ছবি।
সাংবাদিকদের হত্যার ক্ষেত্রে বিশ্ব জুড়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই খুনিরা পার পেয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করল ‘কমিটি ফর প্রোটেকশন অব জার্নালিস্টস’ (সিপিজে)। গত দশকে গোটা বিশ্বে এ ক্ষেত্রে প্রায় ৮০ শতাংশ মামলায় খুনিরা পার পেয়ে গিয়েছে বলে দাবি তাদের। এই ধরনের ঘটনা নিয়ে তৈরি তাদের সূচকের গোড়ার দিকেই সোমালিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তানের সঙ্গে রয়েছে ভারতের নাম। সূচক অনুযায়ী, ভারতে ১৫ বছরে সাংবাদিক হত্যার ২০টি মামলার কিনারা হয়নি।
কেবল হত্যা নয়, তল্লাশি অভিযানের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের হেনস্থা নিয়েও সরব হয়েছে সাংবাদিক সংগঠন। ভারতের ডিজিটাল মিডিয়ার সংগঠন ডিজিপাব জানিয়েছে, বিজেপি নেতা অমিত মালব্যের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গত কাল রাতে একটি পোর্টালের সম্পাদক সিদ্ধার্থ বরদারাজন, এম কে ভেণু, সিদ্ধার্থ ভাটিয়া ও জাহ্নবী সেনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ল্যাপটপ, মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে দিল্লি পুলিশ। ডিজিপাব জানিয়েছে, অমিত মালব্য ইনস্টাগ্রামে ‘এক্স চেক’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিশেষ সুবিধে পান বলে কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করেছিল বরদারাজনদের পোর্টালটি। পরে ভুল স্বীকার করে সেই রিপোর্টগুলি সরিয়ে নেয় তারা।
ডিজিপাব জানিয়েছে, ভুয়ো রিপোর্ট প্রকাশ করলে কোনও সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যমকে অবশ্যই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। সে কাজ অন্য সংবাদমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের।
কিন্তু শাসক দলের নেতার মানহানির অভিযোগের ভিত্তিতে সম্পাদকদের বাড়িতে পুলিশি হানায় আইনসঙ্গত নয়, এমন কাজের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তদন্ত আইনসঙ্গত পথে হওয়া প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy