ইজ়রায়েলের সঙ্গে আগামী সপ্তাহেই দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তি সেরে নিতে পারে ভারত। তিন দিনের সফরে সোমবার ভারতে আসছেন ইজ়রায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজ়ালেল স্মোট্রিচ। এই সফরকালে দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা হতে পারে দুই দেশের। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, এফটিএ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তিও সেরে ফেলতে পারে নয়াদিল্লি এবং তেলআভিব।
রাশিয়ার সঙ্গে দিল্লির ব্যবসায়িক সম্পর্কের কারণে সম্প্রতি ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে এক কূটনৈতিক টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে। যদিও গত কয়েক দিনে সেই কূটনৈতিক চাপানউতর কাটার আভাস মিলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোস্টে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পের ইতিবাচক মন্তব্যের প্রতিদান দিতে প্রস্তুত। তবে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি এখনও ঝুলেই রয়েছে।
বস্তুত, মোদী সরকার সম্প্রতি এ-ও স্পষ্ট করে দিয়েছে, ভারত কোনও একটি দেশের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকবে না। বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক সমীকরণের উপর জোর দিচ্ছে ভারত। এই আবহে পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার অন্যতম ‘বন্ধুরাষ্ট্র’ ইজ়রায়েলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ওই সূত্র পিটিআইকে বলেছেন, “এই সফরকালে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে ভারত এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে আর্থিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করা হবে। মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি এবং দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে।” তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তির খসড়া নিয়ে দু’দেশের মধ্যে আলোচনা হয়ে গিয়েছে। এই সফরকালে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
এই চুক্তি দু’দেশেরই বিনিয়োগকারীদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আরও বেশি সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বস্তুত, ২০২০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ১৫টিরও বেশি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তি সেরে নিয়েছে ইজ়রায়েল। এই তালিকায় রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, জাপান, তাইল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলি। ভারত এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে এই চুক্তি দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগের পথকে আরও প্রশস্ত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত তিন দিনের সফরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এবং আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন স্মোট্রিচ।