বিশ্ব অবসরভাতা সূচক (গ্লোবাল পেনশন ইনডেক্স)-এ পিছনের সারিতে ঠাঁই পেল ভারত। সম্প্রতি আমেরিকার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মার্সার সিএফএ ইনস্টিটিউট বিশ্বের ৫২টি অবসরকালীন উপার্জন প্রকল্প নিয়ে সমীক্ষা চালায়। এই প্রকল্পগুলি থেকে উপকৃত হয়ে থাকেন গোটা বিশ্বের ৬৫ শতাংশ অবসরপ্রাপ্ত মানুষ। তার ভিত্তিতেই ওই সূচক প্রকাশ করা হয়েছে। ওই সূচকে দেখা যাচ্ছে ভারত অনেকটাই পিছনের সারিতে রয়েছে। নানা মাপকাঠিতে পিছিয়ে থাকায় ভারতকে ‘ডি গ্রেড’ দিয়েছেন সমীক্ষকেরা।
মূলত তিনটি মাপকাঠির ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশের অবসরকালীন ভাতা প্রকল্পকে নম্বর দিয়েছে সমীক্ষক সংস্থা। তার একটি হল অবসরভাতার স্থিতিশীলতা, দ্বিতীয়টি হল সেটির গ্রহণযোগ্যতা। আর শেষটি হল অবসরভাতার পর্যাপ্ত অঙ্কের পরিমাণ। ভারতের অবসরভাতা প্রকল্প সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে এই অবসরভাতার পর্যাপ্ত অঙ্কের পরিমাণেই। এ ক্ষেত্রে ভারত ‘ই গ্রেড’ পেয়েছে। ভারতে একাধিক অবসরভাতা প্রকল্প রয়েছে। রয়েছে এমপ্লয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন বা ইপিএফও, এমপ্লয়ি পেনশন স্কিম। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরতদের জন্য সামাজিক সুরক্ষার দিকটি এ দেশে বরাবরই দুর্বল। সমীক্ষাতেও উল্লেখ করা হয়েছে যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভারতে এই ধরনের প্রকল্পগুলিতে সামাজিক সুরক্ষা এবং টাকার পরিমাণ তুলনায় কম।
প্রাপ্ত নম্বরের নিরিখে চলতি বছরে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। ভারতের নম্বর যেখানে আন্তর্জাতিক গড় ৬৪.৫ শতাংশেরও অনেক কম, সেখানে নেদারল্যান্ডলের নম্বর ৮৫.৪। তার পরেই যথাক্রমে রয়েছে আইসল্যান্ড (৮৪), ডেনমার্ক (৮২.৩), সিঙ্গাপুর (৮০.৮) ইজ়রায়েল (৮০.৩)। এই পাঁচটি দেশই সমীক্ষায় ‘এ গ্রেড’ পেয়েছে। সমীক্ষায় ইঙ্গিত যে, উপরিউক্ত দেশগুলিতে শক্তপোক্ত এবং দীর্ঘমেয়াদি অবসরভাতা প্রকল্পের সুফল পেয়ে থাকেন প্রবীণ নাগরিকেরা।